অস্ট্রেলিয়ার প্রথম হিজাব-পরিহিত নারী কাউন্সিলর হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন নাদিয়া সালেহ। সিডনির বহুবিচিত্র সংস্কৃতিক উপশহর ক্যানটারবেরি-ব্যাঙ্কস্টাউন কাউন্সিল থেকে তিনি নির্বাচিত হন।
সিডনি থেকে তার সঙ্গে আরো দুজন মুসলিম পুরুষও কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। তারা হলেন লেবার পার্টির মোহাম্মদ হুদা এবং লিবারেল প্রার্থী মোহাম্মদ জামান।
২৮ বছর আগে লেবাননের গৃহযুদ্ধ থেকে পালিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় আসেন চার সন্তানের এই জননী।
এরপর তিনি সিডনির দক্ষিণ-পশ্চিমের রিভারওড শহরে স্থায়ী হওয়ার পর তিনি তার নতুন গৃহীত সম্প্রদায়ের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করেন এবং রিভারওড কমিউনিটি সেন্টারের একজন ম্যানেজার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
নাদিয়া সালেহ বলেন, ‘আমি প্রথম যখন অস্ট্রেলিয়ায় এসেছিলাম, তখন আমাকে আমার বাচ্চাদের লালন-পালন করতে লড়াই করতে হয়েছে। সমর্থনের জন্য আমাকে সংগ্রাম করতে হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমাকে এই অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। এটি সম্প্রদায়ের সদস্যদের সমর্থন এবং শক্তিশালী হওয়ার ব্যাপারে আমাকে অনেক বেশি সংকল্পবদ্ধ করেছে।’
অস্ট্রেলিয়ার মুসলিম রাজনীতিকদের একটি ছোট দলে সালেহ যোগ দেন। এরমধ্যে রয়েছেন ফেডারেল এমপি এড হুসিক এবং অ্যান এলি এবং এনএসডব্লিউ এর ঊর্ধ্বতন সদস্য শাওকাত মোসলেমেন।
সূত্র: অ্যাবাউট ইসলাম
অস্ট্রেলিয়ার দুর্ধর্ষ ডাকাত আববার্টন কারাগারে
সশস্ত্র ডাকাতির অভিযোগ গ্রেপ্তার সিডনি সার্ফ গ্যাং ‘দ্য ব্রা বয়েজেস’ এর প্রতিষ্ঠাতা জেই আববার্টনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
একটি আক্রমণাত্মক অস্ত্র দিয়ে সশস্ত্র ডাকাতির অভিযোগ ওঠা ৪৩ বছর বয়সী সাবেক এই পেশাদার সার্ফারের জামিন আবেদন আদালত নাকচ করে দেয়।
এছাড়াও তার বিরুদ্ধে চুরি করার অভিপ্রায়ে একটি আবাসিক এলাকায় প্রবেশেরও অভিযোগ আনা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, গত বছরের ডিসেম্বরে সাউথ কোগি ইউনিটে ৪৩ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে ছুরি দিয়ে মারাত্মক জখম ও মারধর করেছিলেন। পরে ওই ব্যক্তিতে হাসপাতালে নিয়ে চিকিত্সা দেয়া হয়েছিল।
গত বছরের ১২ ডিসেম্বরের ওই ঘটনা তদন্তের পর বুধবার পুলিশ আববার্টনকে গ্রেপ্তার করে। বৃহস্পতিবার তাকে ওয়েভলি স্থানীয় আদালতে নেয়া হলে তার জামিন আবেদন প্রত্যাখ্যান করে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়।
আদালতের শুনানিতে বলা হয়, গত বছরের ১২ ডিসেম্বর তারিখে আববার্টন অন্য আরো দুজন ব্যক্তিকে নিয়ে সাউথ কোগি’তে তার পরিচিত এক ব্যক্তির বাড়ি যান। পরে তারা ওই ব্যক্তিকে মারধর করেন।
পুলিশ অভিযোগ করেন যে, আববার্টনের এক সহকর্মী ওই বাড়ির রান্নাঘর থেকে ধারালো ছুড়ি এনে লোকটির বাম পায়ের পিছনটা কেটে ফেলেন। এর আগে অ্যাববারটন ওই লোকের কুকুরটিকে তার বেডরুমে আটকে রাখেন যাতে কুকুরটি লোকটিকে রক্ষা করতে না পারে।
অভিযোগে আরো বলা হয়, পরে তিনি লোকটির মানিব্যাগ, বিপুল পরিমান গাঁজা এবং ভ্যালিয়াম চুরি করেন।
শুনানি শেষে ম্যাজিস্ট্রেট লিসা স্ট্যাপল্টন তার জামিনের আবেদন প্রত্যাখ্যান করেন এবং ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত সেন্ট্রাল লোকাল আদালতে মামলাটি মুলতবি রাখেন।