রাজশাহী: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. একেএম শফিউল ইসলাম লিলন হত্যাকাণ্ডের তদন্তভার নগর গোয়েন্দা শাখায় স্থানান্তর করা হয়েছে।
বুধবার মতিহার থানা থেকে মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব ডিবিকে দেয়া হয়েছে। নগর পুলিশের মুখপাত্র সহকারী কমিশনার ইফতে খায়ের আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
নগর পুলিশ সূত্র জানায়, দুই মাসের বেশি সময় পার হলেও এ হত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও হত্যারহস্য উন্মোচনে ব্যর্থ হয় মতিহার থানা পুলিশ। মামলাটির তদন্তের দায়িত্বে ছিলেন মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন। এ কারণে বুধবার মামলাটি গোয়েন্দা শাখায় স্থানান্তর করা হয়।
শিক্ষক লিলন হত্যাকাণ্ডের পর র্যাব রাজশাহী ও ঢাকা থেকে ৬ জনকে গ্রেপ্তার করে। তারা র্যাবের কাছে এ হত্যার দায় স্বীকার করে। তবে নভেম্বর মাসজুড়ে বিভিন্ন সময়ে ৬ জনকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও আদালতে স্বীকারোক্তি দিতে অস্বীকার করে তারা। ফলে নতুন কোনো তথ্যই উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ।
পাশাপাশি হত্যাকাণ্ডের ৫ ঘণ্টার মাথায় ফেসবুকে হঠাৎ পেজ খুলে হত্যার দায় স্বীকারকারী জামায়াত-শিবির নিয়ন্ত্রিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলাম বাংলাদেশ-২ এর প্রধান আবদুর রহিমকে শনাক্তের দাবি করা হলেও ধরাছোঁয়ার বাইরে তিনি।
উল্লেখ্য, গত ১৫ নভেম্বর রাবি সংলগ্ন চৌদ্দপাই এলাকায় নিজ বাসার সামনে দুর্বৃত্তদের হামলায় নিহত হন সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. একেএম শফিউল ইসলাম লিলন।