কলেজের ক্লাস শেষে যৌন ব্যবস্যা!!!

0

] copyতালুকাস ও নাগপুর থেকে কাজ ও পড়াশোনার জন্য আসা অনেক মেয়ে পৃথিবীর আদিমতম পেশাটি বেছে নেন। চমকে দেয়ার মতো খবর হলো এখনও নাগপুরের নিকটবর্তী এলাকা ওয়াদি, হিংনা, কালমেশ্বর, কেম্পটি থেকে হাজার মেয়েরা পড়াশোনা

বা কাজের খোঁজে এসে নিজেদের বিলিয়ে দিচ্ছেন টাকার জন্য।

মিসেস জ্যাকিল এবং মিসেস হাইড

বেশির ভাগ মেয়েরাই দুই রকম জীবন-যাপন করেন। তারা তাদের পরিবারকে বোঝাতে চেষ্টা করেন যে, নাগপুর তাদের স্বপ্নের ঠিকানা। ভরসা পেগেল নামে একটি এনজিওর ম্যানেজার পতিতাপল্লীর বাইরের যৌনকর্মীদের জন্য এইডস নিয়ে কাজ করছেন। তিনি জানান, বেশির ভাগ মেয়েরা ১৮থেকে ২৫ বছর বয়সী। তারা সবাই গরীব পরিবার থেকে এসেছে তা নয়। অনেকে আছেন, সম্ভ্রান্ত মধ্যবিত্ত পরিবারের সদস্য। তারা পড়াশোনার পাশাপাশি বাড়িতে আয়ের জন্য রাতে বেশ্যাবৃত্তির পথ বেছে নিয়েছে। এদের মধ্যে নার্সিং, আর্টস, কমার্স, ও বিজ্ঞানের ছাত্রীও আছে। আমরা তাদেরকে পরামর্শ দেয়ার চেষ্টা করছি। ভরসা আরো জানান, এই শিক্ষার্থীরা যেহেতু অল্প বয়সী তাই তারা খদ্দেরের কাছ থেকে ভাল টাকা পায়। তারা এটা সরাসরি খদ্দেরের কাছ থেকে নেয় অথবা তাদের দালালের মাধ্যমে নেয়। তারা প্রতিরাতে ৬হাজার থেকে ১০হাজার রুপি পর্যন্ত পেয়ে থাকে। আর ঘন্টায় দেড় হাজার থেকে দুই হাজার রুপি। পুরোটাই নির্ভর করে খদ্দেরের উপরে। তারা গড়ে সপ্তাহে দুই এই খেপ দিয়ে থাকে।

বিলাসী জীবন যাপন

কোনো কোনো ক্ষেত্রে এই অর্থের একটা অংশ তাদের পরিবারের কাছে যায়। কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রে তারা দামী মোবাইল সেট, দামী মেক-আপ সেট, কাপড়-চোপড় ইত্যাদির পেছনে খরচ করে। এবং এই মেয়েদের সবাই মাছের মত মদ্যপানে অভ্যস্ত। ভরসা জানান, আমাদের ডাটাবেজে ৩হাজারের মতো পতীতাপল্লীর বাইরের যৌনকর্মী রয়েছে এবং এদের ৭০ শতাংশই এই শিক্ষার্থীরা। অভিভাবকরা অনেকেই তাদের সন্তানদের এই জীবন সম্পর্কে কিছুই জানেন না।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More