তুরস্কে ধর্মঘটের ডাক

0

mine-intro-311x186তুরস্কে খনি ধসের ঘটনায় আটকে পড়া শ্রমিকদের জীবিত থাকার আশা ক্ষীণ হয়ে আসায় এবং মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৭৪ জনে দাঁড়ানোয় দেশব্যাপী ব্যাপক বিক্ষোভ দানা বেঁধে উঠছে।

এবারের ঘটনা ছিল তুরস্কের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ খনি দুর্ঘটনা। এ ঘটনায় সরকার ও মালিকপক্ষের গাফিলতির অভিযোগ এনে তুরস্কের সবচেয়ে বড় কর্মচারী ইউনিয়ন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে।

এদিকে ইতোমধ্যেই আঙ্কারা ও ইস্তাম্বুলে পুলিশের সঙ্গে কয়েক হাজার বিক্ষোভকারীর ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা এ ঘটনার জন্য সরকার ও খনি মালিকদের গাফিলতিকে দায়ী করছে।

প্রধানমন্ত্রী রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান এই ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত শুরুর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

তবে তিনি ‘খনিতে এ ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে থাকে’ উল্লেখ করে এই ঘটনায় সরকারের দায়িত্বহীনতার অভিযোগ অস্বীকার করেন।

এর আগে তিনি মানিসা প্রদেশের পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর সোমায় অবস্থিত খনিটি পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন শেষে তিনি বলেন, ‘আমরা সাম্প্রতিক ইতিহাসের মধ্যে সবচেয়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা প্রত্যক্ষ করলাম।’ এ সময় হতাহতদের পরিবারের সদস্যরা তার পদত্যাগ দাবি করে।

ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার কর্মীরা জানিয়েছেন, মৃতের সংখ্যা আরো অনেক বৃদ্ধি পেতে পারে। এ পর্যন্ত প্রায় ৪৫০ কর্মীকে উদ্ধার করা হয়েছে। তবে গত কয়েকঘণ্টায় জীবিত কাউকে পাওয়া যায়নি। তুরস্কে এটিই সবচেয়ে ভয়াবহ খনি দুর্ঘটনা বলে মনে করা হচ্ছে।

এ দুর্ঘটনার জন্য সরকারকেই দোষারোপ করছে বিরোধীরা। খনির নিরাপত্তার বিষয়টিতে সরকার আমল দিচ্ছে না বলে অভিযোগ তাদের। শহরটিতে এরই মধ্যে সরকারের বিরুদ্ধে দেখা দিয়েছে বিক্ষোভ। বিক্ষুব্ধরা সরকারের পদত্যাগ দাবি করেছে।

বিস্ফোরণের সময় ৭৮৭ জন কর্মী খনির ভিতরে ছিল। উদ্ধারকর্মীরা খনিকর্মীদের মৃতদেহ ও আহতদের উদ্ধারে কাজ করে যাচ্ছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত খনির ভেতর আরো কয়েকশ কর্মী আটকা পড়ে ছিলেন। রাতভর তাদের উদ্ধারের প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছিলেন উদ্ধারকর্মীরা।

দুর্ঘটনা কবলিত খনিটি রাজধানী আঙ্কারা থেকে ৪৫০ কিলোমিটার পশ্চিমে অবস্থিত। খনি শ্রমিকদের পরিবারের কয়েকশ সদস্য এরদোগান যে ভবনে সংবাদ সম্মেলন করে তার কাছে বিক্ষোভ করে। তাদের কয়েকজন এরদোগানের গাড়িতে লাথিও মারে। আঙ্কারার কেন্দ্রস্থল কিজিলেই স্কয়ারে তিন হাজার থেকে চার হাজার বিক্ষোভকারীকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ও জলকামান ব্যবহার করে। ইস্তাম্বুলেও কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী জড়ো হয়। এই ঘটনা এরদোগানের ওপর রাজনৈতিক চাপ বৃদ্ধি করেছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট বিশ্লেষকরা।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More