বিএনপি-জামায়াত ঠেকাতে ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে ছাত্রলীগ!

0

23096_1বিএনপি-জামায়াতের সকল চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। আগামী রোববার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ছাত্র সমাবেশের আয়োজন করেছে এই ছাত্র সংগঠনটি।

সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর সামনেই বিএনপি-জামায়াতের নৈরাজ্য রোধের শপথ নিবেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।

আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতীম এ ছাত্র সংগঠনটি পেছনের সবকিছু ভুলে নব উদ্যামে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চায়। টানা দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় আসা আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর হাতকে শক্তিশালী করতে কাজ করবে তারা।

দেশ ও সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারী সকল গোষ্ঠিকে উপযুক্ত জবাব দিতেও প্রস্তুত ছাত্রলীগ।

বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর থেকে প্রতি বছর আগস্ট মাসে জাতীয় শোক দিবসে আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। প্রতি বছর রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রেই সাধারণত তাদের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এবার তারা রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শোক দিবস উপলক্ষে মহা সমাবেশের আয়োজন করেছে। এই সমাবেশের মাধ্যমে সকল সমালোচনার অবসান ঘটিয়ে নিজেদের শক্তি ও ঐক্যের জানান দিতে চায় ছাত্রলীগ।

ছাত্রলীগের এক কেন্দ্রীয় নেতা টাইমনিউজবিডি.কমকে জানান, বিএনপি-জামায়াত বার বার আন্দোলনের হুমকি দিচ্ছেন। তাদেরকে জানিয়ে দিতে চাই শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ছাত্র সমাজ ঐক্যবদ্ধ। স্বাধীন বাংলাদেশে বিএনপি-জামায়াতের আর কোন ষড়যন্ত্র সফল করতে দেয়া হবে না। যে কোন মূল্যে তাদের সকল ষড়যন্ত্র রোধ করা হবে।

সমাবেশের প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চাইলে ছাত্রলীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সুমন কুণ্ড টাইমনিউজবিডি.কমকে বলেন,  প্রতি বছরের ন্যায় এবারও আমরা জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে সমাবেশের আয়োজন করেছি। গত ১১ আগস্ট ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কার্যলয়ে এক জরুরী সভা করেছি। এরপর ১৫ আগস্ট শোক দিবসের অনুষ্ঠান শেষ করে ১৬ আগস্ট থেকে ৩১ আগস্টের সমাবেশের কাজ শুরু করেছি। এ সমাবেশ সম্পন্ন করতে কয়েটি উপ-কমিটি গঠন করা হয়েছে।

ছাত্রলীগের সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম রাজশাহী, বরিশাল, রংপুর, মুন্সিগঞ্জ, গাজীপুর, সাভার, নরসিংদী নারায়ণগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বর্ধিত ও কর্মী সভা করেছেন। ছাত্রলীগ এ সমাবেশকে মহাসমাবেশে পরিণত করতে চায়।

এ লক্ষে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে পোষ্টার, ব্যানার, ফেস্টুন, টাঙানো হয়েছে। সমাবেশকে সফল করতে ছাত্র সমাজের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ছাত্রলীগ সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ। এছাড়াও প্রতিদিন ঢাকাসহ সারাদেশের ওয়ার্ড পর্যায়ে বৈঠক চলছে অনুষ্ঠানে লোক সমাগমের ব্যাপারে।

সমাবেশে ৩ লক্ষাধিক ছাত্রদের সমাগম ঘটাতে চায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। অনুষ্ঠানের সকল কার্যক্রম প্রায় শেষ। এখন মঞ্চ তৈরির কাজ চলছে বলেও জানান ছাত্র লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সুমন কুণ্ড।

সমাবেশের প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চাইলে ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আল মাহমুদ তারেক টাইমনিউজবিডি.কমকে বলেন, আমাদের প্রস্তুতি অনেক ভালো। ইতোমধ্যে সংগঠনের সভাপতিএইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম বিভিন্ন জেলায় বর্ধিত সভা করেছে। এ বছর আমরা শোক দিবসের আলোচনা সভা অনেক বড় করে করতে যাচ্ছি। সারা দেশের নেতাকর্মীরা এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন। সংগঠনকে শক্তিশালী করতেই এ অনুষ্ঠান উপলক্ষে আমরা সবাই একত্রিত হতে যাচ্ছি।

ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক শেখ রাসেল টাইমনিউজবিডি.কমকে বলেন, প্রতি বছর ৩১ শে আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা এবং জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা করি। এবার আলোচনা সভা না করে ছাত্র সমাবেশ ডেকেছি। দেশরত্ম শেখ হাসিনা ক্ষুদা মুক্ত, দারিদ্র মুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মানে যে কাজ করে যাচ্ছে সে ম্যাসেজটুকু নতুন প্রজম্মের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে চাই।

ছাত্র সমাবেশের ব্যাপারে জানতে ছাত্রলীগের সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলমের সঙ্গে ফোনে একাধিক বার যোগাযোগ করা হলে তাদেরকে পাওয়া যায়নি।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More