বিদ্যুৎ প্রাপ্তির তালিকায় বাংলাদেশ সবার শেষে

0

Electricসহজে ব্যবসা করার পরিবেশের ক্ষেত্রে দুই ধাপ পেছালো বাংলাদেশ। সহজে ব্যবসা করা যায় বিশ্বের এমন ১৮৯টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান এখন ১৭৪তম। আগে এই অবস্থান ছিল ১৭২। শুধু তাই নয়, ১০টি সূচকের প্রতিটিতেই অবনমন ঘটেছে বাংলাদেশের।

তবে বাংলাদেশ সবচেয়ে খারাপ করেছে বিদ্যুৎ প্রাপ্তিতার সূচকে। এ ক্ষেত্রে ১৮৯টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৮৯তম। অথচ সরকার দাবি করছে, গত কয়েক বছরে বিদ্যুতের উৎপাদন ১০ হাজার মেগাওয়াট ছাড়িয়ে গেছে।

এদিকে আয়কর পরিশোধের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান ৮৬তম। সূচকে এটাই বাংলাদেশের বড় প্রাপ্তি বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

বিশ্ব ব্যাংকের ডুয়িং বিজনেস রিপোর্ট ২০১৬- এমন তথ্য উঠে এসেছে। বুধবার এই রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়। তালিকার প্রথমে রয়েছে সিঙ্গাপুর।

আটটি দেশ নিয়ে গঠিত দক্ষিণ এশিয়ায় এই তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ভয়াবহ। এখানে কেবল আফগানিস্তানের ওপরে রয়েছে বাংলাদেশ। শীর্ষে রয়েছে ভুটান। দেশটির অবস্থান ৭১তম।

ভারতের উন্নতি হয়েছে চারধাপ। দেশটি এবার রয়েছে ১৩০তম স্থানে। আগে ছিল ১৩৪ নম্বরে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ৬ মাসে বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভারত আশাতীত অগ্রগতি অর্জন করেছে। এই সময়ে দেশটিতে ৩০০ কোটি ডলার বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে। একই সময়ে চীনে বিদেশি বিনিয়োগ হয়েছে ২৮০ কোটি ডলার।

বাংলাদেশের মতো পাকিস্তানেরও দুই ধাপ অবনমন হয়েছে। পাকিস্তান বর্তমানে ১৩৮তম স্থানে। আগে ছিল ১৩৬তম স্থানে। তবে বাংলাদেশের উপরে। শ্রীলঙ্কা ৬ ধাপ উপরে উঠায় এখন তার অবস্থান ১০৭তম। মালদ্বীপেরও তিনধাপ উত্তোরণ ঘটেছে। আগে দেশটির অবস্থান ছিল ১২৮। বর্তমানে ১২৫-এ। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে কেবল ভুটান ও নেপাল ১০০-এর মধ্যে রয়েছে।

বিশ্বব্যাংক প্রতি বছরই এ ধরনের জরিপ রিপোর্ট প্রকাশ করে থাকে। স্থানীয় উদ্যোক্তাদের জন্য ব্যবসায়িক পরিবেশ কতোটা সহজ বা কঠিন সেটা দেখাতেই এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়ে থাকে।

প্রতিবেদনে ব্যবসার পরিবেশকে ১০টি সূচকে বিশ্লেষণ করা হয়েছে। সেগুলো হলো- ব্যবসার শুরু, অবকাঠামো নির্মাণে অনুমতি, বিদ্যুতের প্রাপ্যতা, সম্পত্তির রেজিস্ট্রার, ঋণের প্রাপ্যতা, সংখ্যালঘুদের বিনিয়োগে সুরক্ষা, কর পরিশোধ, বৈদেশি বাণিজ্য, চুক্তির বাস্তবায়ন ও অস্বচ্ছলতা দূরীকরণ। কিন্তু ১০টি সূচকের কোনোটিতেই উন্নতি হয়নি বাংলাদেশের।

বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়, দক্ষিণ এশিয়ার আটটি দেশের মধ্যে ছয়টি দেশ গত বছর তাদের ব্যবসা ক্ষেত্রে ৯টি সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়ন করেছে। এর আগের চারটি দেশ তাদের সংস্কার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছিল।

বিশ্বব্যাংকের ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সবচেয়ে খারাপ করেছে বিদ্যুৎ প্রাপ্তিতার সূচকে। এই ক্ষেত্রে ১৮৯টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৮৯তম। আর কর পরিশোধের ক্ষেত্রে দেশটির অবস্থান ৮৬তম। চুক্তি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রেও দেশটির অবস্থান ১৮৮তম। সম্পত্তি রেজিস্টার ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশের অবস্থান ১৮৫তম।

এছাড়া ঋণ প্রাপ্তিতার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবনমন হয়েছে পাঁচ ধাপ। এক্ষেত্রে বর্তমান অবস্থান ১৩৩তম। আগে ছিল ১২৮।

অস্বচ্ছ্বলতা দূরীকরণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান ১৫৫তম। আর অবকাঠামো নির্মাণের ক্ষেত্রে ১১৮ ও বৈদেশিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে দেশটি ১৭২ তমস্থানে রয়েছে। সংখ্যালঘুদের বিনিয়োগ সুরক্ষার ক্ষেত্রেও একধাপ অবনমনে এখনকার অবস্থান ৮৮।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More