বিপিএল ফিক্সিংয়ের রায় প্রকাশ

0
image_95020_0ঢাকা: বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) বিপিএল ফিক্সিংয়ের রায় ষোষণা করেছেন ট্রাইব্যুনাল। রোববার বিকেল ৪টায় রায়ের কপি সংশ্লিষ্টদের কাছে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্সের আইনজীবী ব্যারিস্টার নওরোজ এমআর চৌধুরী বাংলামেইলকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
রায় নিয়ে ব্যারিস্টার নওরোজ এমআর চৌধুরী তিনি বলেন, ‘টাইব্যুনাল আমাদের কাছে ৬২ পৃষ্ঠার ‘রিজন জাজমেন্ট’ পাঠিয়েছে। আমরা এখনও পুরো জাজমেন্ট দেখিনি। এজন্য আমাদের দুই দিন সময় লাগবে। এরপর বিস্তারিত জানাতে পারবো।’
রায় নিয়ে রোবরার মিরপুর শেরবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, ‘ট্রাইব্যুনাল আমাদের ও দোষীদের আইনজীবীকে ‘রিজন জাজমেন্ট’ পাঠিয়েছে। আইসিসি আমাদের সঙ্গে এ বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে, তারাও রায় পেয়েছে। পুরো রায় দেখে এ বিষয়ে আপনাদের জানাতে পারব।’
দোষীদের শাস্তির নির্ধারণ করতে  ট্রাইব্যুনালে আগামী ১৮, ১৯ জুন আরেকটি শুনানি হবে। সেই শুনানিতেই দোষীদের শাস্তি নির্ধারিত হবে। যাদের শাস্তি নির্ধারণ হবে তারা হলেন- সবার আগেই ম্যাচ পাতানোর দোষ স্বীকার করা মোহাম্মদ আশরাফুল, ট্রাইব্যুনালে দোষী প্রমাণিত হওয়া শ্রীলঙ্কার কৌশল লুকুয়ারাচ্চি, লু ভিনসেন্ট এবং ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শিহাব চৌধুরী।
গত ২৬ ফেব্রুয়ারি ঘোষিত সংক্ষিপ্ত রায়ে নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছেন জাতীয় দলের সাবেক বাঁহাতি স্পিনার মোহাম্মদ রফিক, বাঁহাতি স্পিনার মোশাররফ হোসেন ও পেসার মাহবুবুল আলম। ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্সের চেয়ারম্যান সেলিম চৌধুরী ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা গৌরব রাওয়াদ এবং ইংল্যান্ডের ক্রিকেটার ড্যারেন স্টিভেন্সও নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছেন।
বিপিএল ফিক্সিংয়ের থেকে চূড়ান্ত শুনানি শুরু হয় গত ১৯ জানুয়ারি। এরপর ২৬ ফেব্রুয়ারি তার সংক্ষিপ্ত রায় ঘোষণা করেন ট্রাইব্যুনাল। রোববার তারই বিস্তারিত জানায় জানান ট্রাইব্যুনাল। এ রায়ে বিপিএল ফিক্সিংয়ে দোষীদের কে কীভাবে ফিক্সিং করেছে তা বিস্তারিত বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১৪ অক্টোবর সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতি আব্দুর রশিদকে ডিসিপ্লিনারি প্যানেলের চেয়ারম্যান নিয়োগ করে বিসিবি। তিনি বিধি অনুযায়ী ডিসিপ্লিনারি প্যানেলের ১০ সদস্য নিয়োগ করেন। ১০ নভেম্বর প্যানেলের চেয়ারম্যান সাবেক বিচারপতি খাদেমুল ইসলাম চৌধুরীকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের দুর্নীতি বিরোধী ট্রাইব্যুনাল গঠন করেন। দুই সদস্য হলেন আজমামুল হোসেন কিউসি ও সাবেক ক্রিকেটার শাকিল কাসেম।
এর আগে গত ১৩ অগাস্ট রাজধানীর একটি হোটেলে আইসিসি ও বিসিবির যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বিপিএলে ম্যাচ পাতানোর জন্য জড়িত থাকায় ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করার কথা জানান আইসিসির প্রধান নির্বাহী ডেভ রিচার্ডসন। তদন্তের ভিত্তিতে অভিযোগ গঠন করে আইসিসি দুর্নীতি দমন ও নিরাপত্তা ইউনিট (আকসু)।
Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More