ভারতের লোকসভা নির্বাচনে তারকা প্রার্থীদের আমলনামা

0

Star-0আমোদ ডেস্ক : সব হিসেবনিকেশ শেষ। এত দিনের উত্তেজনা, পাল্টাপাল্টি বক্তব্য সবই এখন অতীত। ভারতের লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন অনেক তারকা শিল্পী। তারা রুপালি পর্দায় অথবা নিজ নিজ ক্ষেত্রে শিল্পপ্রতিভা তুলে ধরে পেয়েছিলেন তারকা খ্যাতি। তবে সাধারণ জনগণের কাছে তারা সবাই জনপ্রিয় নন। ভোটের ফলাফলই বলে দিচ্ছে তা।

বলিউডের কিরণ খের এবং গুল পানাগ চণ্ডীগড়ে লড়াই করেছেন। গুল পানাগ এবারই প্রথম আম আদমি পার্টির হয়ে নির্বাচনে অংশ নেন। তবে তিনি কিরণ খেরের কাছে হেরে গেছেন। গুল মোটরবাইক নিয়ে যুব সম্প্রদায়ের কাছে তার প্রচারণা চালান। কিন্তু ভোটারের কাছ থেকে শেষ পর্যন্ত সাড়া পান কিরণ খের। তার উচ্ছ্বসিত স্বামী অনুপম খের টুইটারে লিখেছেন, ‘ভালো দিন এসে গেছে, জয় হো।’

পরেশ রাওয়াল গুজরাটের আহমেদাবাদ থেকে বিজেপির হয়ে মনোনয়ন লাভ করেন। তিনি এমনিতেই অনেক জনপ্রিয় এবং ভালোভাবেই তার ভোটারদের খুশি করতে পেরেছেন। তিনি সামাজিক যোগাযোগ-মাধ্যমেও অনেক প্রচারণা চালিয়েছেন। তার ভক্তরাও এই হাসিখুশি মানুষের জয়ে অনেক খুশি হয়েছেন।

রাখি সাওয়ান্ত তার নিজের তৈরি রাষ্ট্রীয় আম পার্টি থেকে মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচনে দাঁড়ান। রাখি যদিও এখনো নির্বাচন নিয়ে তার শোক থেকে বের হতে পারেনি কিন্তু এরই মধ্যে তিনি টুইটারে অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন। তাকে নিয়ে তৈরি হয়েছে নানা কৌতুক। সে কৌতুকগুলোর মধ্যে একটি হলো : রাখি সাওয়ান্ত ১৫ ভোট পেয়েছেন, ১টি রাখির নিজের, একটি দিয়েছেন জিসাস, ১টি মিকা সিং আর একটি কামাল আর খানের। তিনি কিন্তু সত্যিই ১৫ ভোট পেয়েছেন। তবে বাকি ১১ জন কে?

রাজ বাবারাজ বাবর উত্তর প্রদেশের গাজিয়াবাদ থেকে লড়েছেন। তবে বলিউডের এ জনপ্রিয় অভিনেতা সাধারণ জনগণের আস্থা অর্জন করতে পারেননি। এ বছরের লোকসভা নির্বাচনে অভিনেত্রী জয়া প্রদা উত্তর প্রদেশ থেকে নির্বাচন করেন। এর আগে তিনি এ আসন থেকে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছিলেন। তবে এবারে হেরে গেছেন এই অভিনেত্রী।

বিজেপি থেকে নির্বাচন করে দিল্লি জয় করলেন মনোজ তেওয়ারি। এ অভিনেতাকে দিল্লির লোকজন মন থেকেই যে ভালোবাসেন, তা প্রমাণ করলেন। তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন উত্তর-পূর্ব দিল্লি থেকে। তিনি ভারতের সমালোচিত টিভি শো বিগবসের মাধ্যমে জনপ্রিয়তা লাভ করেন।

এবার ফিরে তাকানো যাক ২০০৯ সালের দিকে। সেবার প্রকাশ ঝা বিহার থেকে নির্বাচন করে হেরে গিয়েছিলেন। সে বছর এই চলচ্চিত্রনির্মাতা ঘোষণা দিয়েছিলেন, তিনি আর নির্বাচন করবেন না। তবে কথা রাখেননি তিনি। এবারও তিনি লোকসভা নির্বাচনে দাঁড়িয়েছিলেন। ফল পেয়েছেন আগের মতোই। এবারও লোকসভা নির্বাচনে হেরে গেছেন তিনি।

অন্য দিকে কৃষ্ণনগরে জয়ী হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী তাপস পাল আর বীরভূম থেকে জয়ী তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দী রায়। হারলেন বিজেপি প্রার্থী জয় বন্দ্যোপাধ্যায়। হাওড়ায় জয়ী তৃণমূলের প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় হারালেন বিজেপি প্রার্থী জর্জ বেকারকে। মেদিনীপুরে জয়ী তৃণমূলের সন্ধ্যা রায়। আসানসোলে ৭৪ হাজার ভোটে জয়ী বিজেপির বাবুল সুপ্রিয়।

ঘাটাল থেকে জয়ী হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী অভিনেতা দীপক অধিকারী ওরফে দেব। বালুরঘাটে জয়ী তৃণমূল প্রার্থী অর্পিতা ঘোষ। শ্রীরামপুরে তৃণমূল প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে হেরে গেলেন বিজেপি প্রার্থী বাপ্পি লাহিড়ি। দার্জিলিংয়ের তৃণমূল প্রার্থী তারকা ফুটবলার বাইচুং ভুটিয়া হেরে গেলেন বিজেপি প্রার্থী এস এস আলুওয়ালিয়ার কাছে।

২১ হাজার ১০২ ভোটে এগিয়ে রয়েছেন মথুরার বিজেপি প্রার্থী হেমা মালিনী। ধাওরারা থেকে এগিয়ে বিজেপি প্রার্থী রেখা। ১ হাজার ১৯৪ ভোটে এগিয়ে বাঁকুড়ার তৃণমূল প্রার্থী মুনমুন সেন।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More