মঙ্গলে প্রথম বাংলাদেশি বাসিন্দা হতে যাচ্ছেন লুলু ফেরদৌস!

0

resize_1399260144মঙ্গল গ্রহে প্রথমবারের মতো ৪ জন মানুষ স্থায়ী বসবাস করার সুযোগ পাচ্ছেন। তাদের মধ্যে লুলু ফেরদৌস নামের বাংলাদেশি এক নারী বিরল এই কৃতিত্বতের অংশীদার হতে যাচ্ছেন। লুলু বর্তমানে নাসাতে সহযোগী গবেষক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।

একটি ডাচ অলাভজনক প্রতিষ্ঠান সাত মাস আগে ঘোষণা দেয়, ২০২৫ সালে মঙ্গল গ্রহে স্থায়ীভাবে মানুষের বসবাস শুরু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যারা স্বেচ্ছায় মঙ্গলে বসতি গড়তে চান, তাদের কাছ থেকে প্রতিষ্ঠানটি আবেদনপত্র আহ্বান করে। ফলে এই প্রকল্পে সারা বিশ্ব থেকে অনেক মানুষ আবেদন করলেও সর্বমোট ২৪ জন যেতে পারবেন মঙ্গল গ্রহে। সেই ২৪ জনের মাঝে ৪ জন মহাকাশচারীর নাম নির্ধারণ করা হয়েছে যাদের মাঝে বাংলাদেশের মেয়ে লুলু ফেরদৌস একজন। লুলু জানান, ২ লাখের বেশি আবেদনপত্র জমা পড়ে এ প্রোগ্রামে। পুরো প্রোগ্রামে মাত্র ৪ জন মহাকাশচারীকেই এ সুযোগ দেওয়া হবে। আমি ওই ৪ জনের একজন হতে যাচ্ছি।

৩৫ বছর বয়সী লুলু ফেরদৌস জন্ম গ্রহণ করেন ঢাকায়। লুলু ফেরদৌসের গ্রামের বাড়ি চাঁদপুর সদর উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নে। লুলু ঢাকায় ভিকারুননিসা স্কুলে পড়াশোনা করেছেন। এরপর আমেরিকায় গিয়ে গবেষণার পাশাপাশি পড়াশোনাও করছেন। লুলুর বাবা ভূ-তত্ত্ব বিভাগের সাবেক পরিচালক ওবায়েদুর রহমান খান। মা রেজিয়া সুলতানা ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের (আইইউবি) ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক। লুলুর একমাত্র ছোট ভাই ইমরান সিঙ্গাপুরে পড়াশুনা করছেন।

জানা গেছে, ২ লাখের বেশি আবেদনপত্র জমা পড়ে মার্স ওয়ান প্রকল্পে। তার মাঝে এখন ছাটাই হয়ে সংক্ষিপ্ত তালিকা নেমে এসেছে ১,০৫৮ জনে। বাছাই করা সর্বশেষ ২৪ জন আগ্রহী নভোচারীদের দীর্ঘ সময় বিভিন্ন ভাবে মহকাশযান চালনা, সেখানে অবস্থান, এবং কিভাবে নিজেকে বিরূপ আবহাওয়ায় টিকেয়ে রেখে মঙ্গল গ্রহে মানুষের বসতি স্থাপন করা যাবে সেই বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। মার্স ওয়ান প্রকল্প পৃথিবী থেকে ২৪ জন নভোচারী নিয়ে মঙ্গলের উদ্দেশ্যে দীর্ঘ ৭ মাসের মহাকাশ যাত্রা শুরু করবে ২০২৪ সালে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More