মতিঝিলে হেফাজতের পতাকা মিছিল বিকেলে

0

3020140504184318সোমবার রাজধানীর মতিঝিল শাপলা চত্বর এলাকায় ‘কলেমা খচিত পতাকা হাতে গণমিছিল’ কর্মসূচি দিয়েছে হেফাজতে ইসলাম। বিকেলে শাপলা চত্বর থেকে এই মিছিল বের হবে। গণমিছিলের জন্য অনুমতি চেয়ে ডিএমপির কাছে লিখিত আবেদনও করেছে তারা। গত বছর ৫ মে হতাহতদের স্মরণে এবং ১৩ দফা দাবির সমর্থনে এ কর্মসূচি দিয়েছে হেফাজত। হেফাজতে ইসলামের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী এই কর্মসূচির কথা জানান। এদিকে হেফাজতের যেকোনো ধরনের নাশকতা রুখে দাঁড়াতে সারা দেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ব্যাপক তৎপরতা দেখা গেছে। ঢাকা-চট্টগ্রামের পাশাপাশি দেশের অন্যান্য অঞ্চলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারি বৃদ্ধি পেয়েছে বলে পুলিশের একটি বিশ্বস্ত সূত্র নিশ্চিত করেছে। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শাপলা চত্বরের ঘটনার প্রতিশোধ হিসেবে দেশব্যাপী নাশকতার আশঙ্কা করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এই দিনকে উপলক্ষ করে হেফাজতে ইসলামকে জামায়াত-শিবির ইন্ধন দিচ্ছে বলেও গোপন তথ্য পেয়েছে পুলিশ। যেকোনো ধরনের নাশকতা প্রতিরোধ করতে তাই নজরদারি বাড়িয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। জানা যায়, সোমবার শাপলা চত্বরের গণমিছিলে হেফাজতের নায়েবে আমির ও বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আমির মাওলানা আহমদ উল্লাহ আশরাফের নেতৃত্ব দেওয়ার কথা রয়েছে। এ বিষয়ে, পুলিশের অতিরিক্ত আইজি এ কে এম শহীদুল হক রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘দিনটি সামনে রেখে রাজধানীসহ সারা দেশে পুলিশকে সতর্ক রাখা হয়েছে। যেসব দল বা সংস্থা তাদের ব্যবহার করেছিল, আজকের দিনটি কেন্দ্র করে তারা আবার মাঠে নামতে পারে। এ ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। নাশকতার তথ্যও রয়েছে পুলিশের কাছে।’ সব দিক বিবেচনা করে মাঠে কাজ করা হচ্ছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা। উল্লেখ্য, নাস্তিকদের বিরুদ্ধে ‘ব্লাশফেমি’ আইন প্রণয়নসহ ১৩ দফা দাবিতে ২০১৩ সালের ৫ মে ঢাকা ঘেরাও কর্মসূচি পালন করে হেফাজতে ইসলাম। কর্মসূচির অংশ হিসেবে সেদিন দুপুরে মতিঝিল শাপলা চত্বরে সমাবেশ চলাকালে মতিঝিল থেকে পুরানা পল্টন ও বায়তুল মোকাররম পর্যন্ত বিশাল এলাকাজুড়ে ব্যাপক ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে, যা মধ্যরাত পর্যন্ত চলে। আর ওই ঘটনায় বহু লোকের প্রাণহানি হয় বলে পরদিন বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়। তবে পুলিশ জানায়, সেদিনের অপারেশনে কোনো প্রাণহানি ঘটেনি। কিন্তু হেফাজত দাবি করে আসছে, ওই দিন সহস্রাধিক লোকের প্রাণহানি ঘটেছে, যার কোনো প্রমাণ পুলিশকে আজও দিতে পারেনি হেফাজত।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More