মা-বাবাকে মিস করছি, কিন্তু আমাকে অপহরণ করা হয়নি (বাংলানিউজের সঙ্গে কথা বললেন নিরবের স্ত্রী ঋদ্ধি)

0
নিরবের স্ত্রী ঋদ্ধি
নিরবের স্ত্রী ঋদ্ধি

চিত্রনায়ক নিরবের বিয়েকে ঘিরে জটিলতা এখনও কাটেনি। নর্থসাউথ ইউনিভার্সিটির ছাত্রী তাসফিয়া তাহের ঋদ্ধির সঙ্গে ২৬ ডিসেম্বর চুপিসারে তার বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। কিন্তু জনপ্রিয় এই মডেল-অভিনেতার বিরুদ্ধে উত্তরা পূর্ব থানায় মেয়েকে অপহরণের মামলা করেছেন শ্বশুর আবু তাহের চৌধুরী। এখনও এর সুরাহা হয়নি। তবে বিশেষ সূত্রে নিরবের স্ত্রী ঋদ্ধির সাক্ষাৎকার নিয়েছে বাংলানিউজ। নিজের বক্তব্যে অপহৃত হওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন ঋদ্ধি। নিরবকে নিজের ইচ্ছায় বিয়ে করার কথাও বলেছেন তিনি। বাংলানিউজের সঙ্গে ঋদ্ধির কথোপকথন পড়ুন।

বাংলানিউজ : ভালো আছেন?
ঋদ্ধি : জ্বি, ভালো আছি।

বাংলানিউজ :  আপনার বিয়েটা কীভাবে হলো একটু বলবেন?
ঋদ্ধি :  সেদিন একজনের সঙ্গে আমার আক্দ হওয়ার কথা ছিলো। এজন্য আমাকে নিয়ে খালামণিরা উত্তরায় পারসোনাতে গিয়েছিলেন। আমি বের হওয়ার সুযোগ খুঁজছিলাম। হঠাৎ খালামণিরা একটু সরে যেতেই আমি নিচে নেমে গেছি। নিরব আগে থেকে গাড়ি নিয়ে অপেক্ষা করছিলো। এরপর আমরা নিরবের বাসায় চলে গেলাম। সেখানেই সন্ধ্যায় আমাদের বিয়ে হয়। বিয়েতে নিরবের বন্ধুরা ছিলো।

বাংলানিউজ :  আপনি বললেন, বেরিয়ে আসার জন্য সুযোগ খুঁজছিলেন। তাহলে কি ধরে নেবো আপনাকে বাসায় আটকে রাখা হয়েছিলো?
ঋদ্ধি :   বিষয়টা এরকম না আসলে। আমার বাসায় একটা দুর্ঘটনা ঘটেছিলো। এ কারণে একদিন আগেও বের হওয়ার চেষ্টা করে পারিনি।

বাংলানিউজ :  আপনার বাবা পুলিশকে জানিয়েছেন, সেদিন অাপনার অন্য ছেলের সঙ্গে বিয়ে হওয়ার কথা ছিলো। ঘটনাটা কি সত্যি?
ঋদ্ধি :   হ্যাঁ। এটা সত্যি। ওইদিন বিকেলে আমার আরেক জায়গায় আকদ হওয়ার কথা ছিলো।

বাংলানিউজ :  আপনার মতামত না নিয়েই এ বিয়ে ঠিক করা হয়েছিলো?
ঋদ্ধি :   হ্যাঁ। আমাকে জিজ্ঞেস করেছিলো বিয়েটা করতে চাই কি-না। আমি না বলে দিয়েছিলাম। এ নিয়ে পরিবারের সঙ্গে আমার তর্ক-বিতর্ক হয়েছে। তবুও আমার মন পাল্টাতে পারেননি তারা। অন্য অভিভাবকদের মতোই মা-বাবার ধারণা ছিলো, বিয়ের পর সব ঠিক হয়ে যাবে।

বাংলানিউজ :  আপনি কি নিরবকে বিয়ে করার সিদ্ধান্তেই অটল ছিলেন?  

বাংলানিউজ :  পরিবারের কেউই কি আপনার পক্ষে ছিলো না?  
ঋদ্ধি :  না।

বাংলানিউজ :  নিরবের প্রতি এতো দুর্বল হওয়ার বিশেষ দিক কোনটি? 
ঋদ্ধি :  ওর ব্যক্তিত্ব।

বাংলানিউজ :  আপনার ভাইবোন আছে? 
ঋদ্ধি :   আমার ছোট ভাই রাজউক স্কুলে দশম শ্রেণীতে পড়ে।

বাংলানিউজ :  আপনার বয়স আঠারো পেরিয়েছে নিশ্চয়ই? 
ঋদ্ধি :  হ্যাঁ-হ্যাঁ।

বাংলানিউজ :  আপনার বাবা পুলিশের কাছে যেসব অভিযোগ করেছেন সবই কি মিথ্যা?
ঋদ্ধি :   সব মিথ্যা বলতে আমার বিয়ে ঠিক হওয়া, পার্লারে নিয়ে যাওয়ার ঘটনাগুলো সত্যি। তবে অপহরণের অভিযোগ মিথ্যা। আমাকে অপহরণ করা হয়নি। আমি নিজের ইচ্ছায় নিরবের কাছে এসেছি।

বাংলানিউজ :  আপনার মা-বাবাকে মিস করছেন না?
ঋদ্ধি :  মিস তো করছিই। আব্বু-আম্মুর সঙ্গে কথা হচ্ছেই না বলতে গেলে। খারাপ তো লাগছেই। বিয়ের পর তাদের সঙ্গে তিনদিন কথা হয়েছে। একবার দু’জনের সঙ্গে, একবার আব্বু আর একবার আম্মুর সঙ্গে কথা বলেছি।

বাংলানিউজ :  মামলার আগে কথা হয়েছে নাকি পরে?
ঋদ্ধি :  মামলা দায়েরের আগে ২৬ ডিসেম্বর একবার কথা হয়েছিলো। মামলার পর ২৯ ডিসেম্বর আর গতকাল (৩ জানুয়ারি) কথা হয়েছে।

বাংলানিউজ :  কথা বলার সময় তারা কি আপনার প্রতি আবেগপ্রবণ ছিলেন নাকি রেগেছিলেন?
ঋদ্ধি :  একবার একটু রাগ করেছিলো আম্মু। পরেরবার আম্মুর মতো আব্বুও আবেগপ্রবণ ছিলো।

বাংলানিউজ :  মামলা দায়েরের পরে কথা হওয়ার সময় কি জানতে চেয়েছিলেন, নিরবের বিরুদ্ধে কেনো অপহরণ মামলা করা হলো?
ঋদ্ধি :  তারা আসলে আমি চলে আসায় রেগে গিয়ে এ কাজটা করেছেন বোধহয়। তাদের এমন আবেগপ্রবণ কিংবা রেগে যাওয়া স্বাভাবিক।

বাংলানিউজ :  তারা কি নিরবের সঙ্গে আপনার বিয়ে মেনে নেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন?
ঋদ্ধি :  হ্যাঁ। তারা তো আমাকে বলেছেন, আমরা তাদের কাছে গেলে মেনে নেবেন। এখন দেখি কী হয়!

বাংলানিউজ :  পড়াশোনা কি চালিয়ে যাবেন?  
ঋদ্ধি :  হ্যাঁ-হ্যাঁ, লেখাপড়া তো অবশ্যই করবো।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More