সাইদির রায় ফাঁসি হলে হরতালে দিবে জামায়াত

0

jamateদেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর জামায়াত নেতা মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আপিলের রায় বুধবার নির্ধারণ করেছেন আপিল বিভাগ। এই রায়কে কেন্দ্র করে হরতাল দেয়ার কথা ভাবছে জামায়াত। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে কোন ঘোষনা এখনও করেনি দলটি।

একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে জানা যায়, আগামীকালে রায় যদি সাঈদীর বিপক্ষে যায় তাহলে আগামী বৃহস্পতিবার কিংবা রবিবার দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা হরতালের কর্মসূচি দিতে পারে দলটি। এমনকি এই দুদিনেই হরতাল রাখতে পারে দলটি । উল্লেখ্য, দ্ধাপরাধ মামলায় জামায়াতের নায়েবে আমীর মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর আপিলের রায় ঘোষণা করা হবে আগামীকাল। প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করবেন।

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের ওয়েবসাইটের কার্যতালিকায় মঙ্গলবার এটি প্রকাশ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ক্রিমিনাল আপিল (এ) ৩৯/২০১৩। দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী বনাম চিফ প্রসিকিউটর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল, ঢাকা। গত বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে মৃত্যুদণ্ড দেন। মুক্তিযুদ্ধকালে হত্যা, অপহরণ, অগ্নিসংযোগ, লুণ্ঠনের দুটি ঘটনায় পাক বাহিনীকে সহায়তার দায়ে তাকে ফাঁসির আদেশ দেয়া হয়।
ট্রাইব্যুনালের রায়ে বলা হয়, সাঈদীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আনা হত্যা, অপহরণ, ধর্ষণ, নির্যাতন, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ, ধর্মান্তরিতকরণ ইত্যাদি ২০টি অভিযোগের মধ্যে আটটি অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। এর মধ্যে পিরোজপুরের চিথোলিয়ার মানিক পসারির বাড়ি লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ও তার ভাই ইব্রাহিম কুট্টিকে পাকিস্তানি সেনাদের দিয়ে হত্যা এবং উমেদপুরের হিন্দুপাড়ায় অগ্নিসংযোগ ও বিসাবলীকে সাঈদীর ইন্ধনে হত্যার দায়ে ফাঁসির মাধ্যমে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেয়া হলো। তবে মৃত্যুদণ্ড দেয়ায় প্রমাণিত হওয়া অন্য ছয়টি অপরাধের জন্য আলাদা করে কোনো শাস্তি দেয়নি ট্রাইব্যুনাল। একইসঙ্গে সাঈদীর বিরুদ্ধে আনা অন্য ১২টি অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে সেগুলো থেকে বেকসুর খালাস দেন ট্রাইব্যুনাল।
অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার পরেও আলাদা কোন দণ্ড না দেয়া সংক্রান্ত ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। আপিলে এসব প্রমাণিত অভিযোগে সাঈদীর সাজা দাবি করা হয়। অপরদিকে ট্রাইব্যুনালের মৃত্যুদণ্ডের রায় বাতিল করে বেকসুর খালাস চেয়ে আপিল করেন সাঈদী। গত বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর পৃথক দুটি আপিলের ওপর শুনানি শুরু হয়। দীর্ঘ যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে গত ১৫ এপ্রিল আপিলের শুনানি শেষ হয়।

বেঞ্চের অন্য সদস্যরা হলেন- বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা, বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহব মিঞা, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী। আপিল বিভাগের বুধবারের কার্যতালিকায় বিষয়টি এক নাম্বারে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। গত ১৬ই এপ্রিল চূড়ান্ত শুনানি শেষে মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রেখেছিল আপিল বিভাগ।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More