সেই বার্মার সাথে বাংলাদেশের সামরিক সক্ষমতার ফারাক বেড়েছেঃ আরাকান কি উদ্ধার হবে?

0

timthumbশেখ মহিউদ্দিন আহমেদ: বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কি বার্মার সাথে যুদ্ধে জড়াচ্ছে? এ প্রশ্ন এখন দেশ বিদেশে? বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীগুলোর মিটিং চলছে বলে জানা গেছে। তবে প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক ও গোয়েন্দা সংশ্লিস্ট বিভিন্ন সুত্র জানিয়েছে উভয় পক্ষই একটি যুদ্ধের জন্য ভেতরে ভেতরে তাতিয়ে আছে। তবে সম্ভাব্য এই যুদ্ধের জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর স্ট্রাটেজির পর্যায়  নিয়ে যথেষ্ঠ সন্দিহান বিশেষজ্ঞ মহল।  বিশেষ করে আওয়ামী সরকারের সশস্ত্র বাহিনীকে ধংস করে দেয়ার পরিকল্পনা এখনো বহাল রয়েছে কিনা তার উপরেই এ যুদ্ধের সুচনা নির্ভরশীল। ২০০০ সালে বিডিআর একাই যুদ্ধ করে বার্মাকে যেভাবে নাস্তানাবুদ বানিয়ে দিয়েছিল, বার্মা সশস্ত্র বাহিনী এখন সেই পর্যায়ের চেয়ে কয়েকগুন বেশি শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে। তবে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীতে মিড লেভেল অফিসার পর্যায়ে এখনো পেশাদারী মনোভাব রয়েছে; যা উর্ধতন পর্যায়ে আছে বলে কেউ বিশ্বাস করে না বা তেমন কোন আলামতও নেই কোথাও।

যে বার্মার সীমান্ত রক্ষী, সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনীর যৌথ আক্রমন প্রতিহত করে বিডিআর একাই ৬০০ বারমিজ সেনা হত্যা করে দেশের অংশ রক্ষা করেছিল, আজ সেই বার্মার কাছে আমাদের সীমান্ত রক্ষা বাহিনীর সদস্যরা নিহত হলে লাশটি ফেরত আনতেও বেগ পেতে হয়। এটি বার্মার সাথে বাংলাদেশের সামরিক সক্ষমতার বর্তমান অবস্থানকে বুঝিয়ে দেয়ার জন্য যথেষ্ট। ভারতের চক্রান্তে বাংলাদেশের সামরিক সক্ষমতা, যুদ্ধ কৌশল ও পেশাগত আচরন পরিবর্তন করে দেয়ার কারনে যে এটি ঘটছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে কংগ্রেসের দালাল শেখ হাসিনার সরকারই শুধু একা দায়ী নয়, সামরিক সক্ষমতা ও গোয়েন্দা সক্ষমতা ধংসের খেলা বিগত বিএনপি সরকারের সময় থেকেই যে শুরু তা প্রতিরক্ষা তথ্য ও বিশ্লেসনের সাথে সম্পৃক্ত সকলেরই জানা।

এখন ২০০০ সালের বিপরীত অবস্থা এসে দাঁড়িয়েছে। আস্থার সঙ্কট কাটাতে বার্মার সঙ্গে নিয়মিত নিরাপত্তা বিষয়ক বৈঠক করতে চায় বাংলাদেশ। তাই এরইমধ্যে বার্মাকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এ বিষয়ক একটি নিরাপত্তা সংলাপ সমঝোতার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। ২০০০ সালে মাত্র ৩ দিনের যুদ্ধের পর যেখানে বার্মার প্রধানমন্ত্রী শান্তির প্রস্তাব দিয়েছিন সেখানে বাংলাদেশের আজ উল্টো সুর। তবে কেউ কেউ এটিকে কৌশল মনে করছেন।

গোয়েন্দা একটি সূত্র জানিয়েছে বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীকে ধংসের ভারতীয় চক্রান্ত বিডিআর ম্যাসাকারেই শেষ হয়ে যায়নি। বার্মার সাথে যুদ্ধ বাঁধিয়ে আরও কিছু সেনা অফিসারকে শেষ করে দেয়ার বিষয়টি এখনো পরিকল্পনায় রয়েছে।পাশাপাশি যুক্তরাস্ট্রের স্ট্রাটেজিক স্বার্থ নিহিত থাকার কারণে এই অঞ্চলে একটি যুদ্ধ জরুরি হয়ে পড়েছে। কেবলমাত্র যুদ্ধেই বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীকে তার পুরনো গৌরবে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া চালানো সম্ভব। বর্তমানে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীগুলো যে নেতৃত্বে চলছে তা দিয়ে অন্তত যুক্তরাস্ট্রের স্ট্রাটেজিক স্বার্থ রক্ষা যে সম্ভব নয় সেটি যুক্তরাষ্ট্র ভালো করেই জানে।

তবে আমাদের বাহিনীগুলো কেবলমাত্র নিরস্ত্র ও বন্দী মানুষকেই যে শুধু হত্যা করতে সক্ষম এটা অস্ত্রধারী বার্মিজদের সাথে সাম্প্রতিক সীমান্ত  সংঘর্ষের প্রেক্ষিতে বোঝা গেছে।  পুরো বাংলাদেশের জনগণ বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীকে জনগনকে হত্যাকারী হিসেবে দেখতে একেবারেই ঘৃণাবোধ করে আর এ থেকে বেরিয়ে আসতে একটি সফল যুদ্ধে জয়লাভ কেবলমাত্র অন্যতম সহায়ক ভুমিকা রাখতে পারে, যে যুদ্ধের অগ্রভাগে থাকতে হবে ঐ সকল সেনা কর্মকর্তা ও সদস্যদের  যারা RAB এ দযিত্ব পালন করে মানুষ হত্যায় পারদর্শিতা অর্জন করেছে।

সম্ভাব্য এই যুদ্ধের উদ্দেশ্য থাকতে হবে বার্মায় বাংলার ঐতিহাসিক হারানো ভূমি পুনরুদ্ধার করা। আর সেই ভূমি হলো আরাকান। আরাকান বাংলাদেশের ঐতিহাসিক অংশ। এর জনগোষ্ঠিও নৃতাত্ত্বিকভাবে বাংলাদেশীদের সাথে সম্পৃক্ত।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More