এসপি বাবুল আক্তারকে নিয়ে ধুম্রজাল

0

[ads1]এসপি বাবুল আক্তারকে নিয়ে ধুম্রজাল full_260092009_1466837795
পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারকে নিয়ে ধুম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। তিনি এখন কোথায় আছেন তার সঠিক অবস্থান বলছেনা কেউ। এছাড়া তিনি গ্রেপ্তার হয়েছেন না তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নেয়া হয়েছে সে ব্যাপারেও স্পষ্ট করে কোন কথা বলছেনা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।

তবে আজ শনিবার সকালে স্বরাষ্টমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালকে বলেছেন, বাবুল আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে তিনি গ্রেপ্তার হয়েছেন কিনা সে ব্যাপারে তিনি কিছুই বলেননি মন্ত্রী।
শুক্রবার দিবাগত রাত পৌনে দুইটার সময় রামপুরার বনশ্রীর বাসা থেকে বাবুল আক্তারকে নিয়ে যায় পুলিশ। বাবুল আক্তারের শ্বশুর পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত পরিদর্শক মো. মোশাররফ হোসেন বলেন, খিলগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঈনুল ইসলাম ও মতিঝিল বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন আমার বাসায় এসে আইজিপি স্যার ডেকেছেন এমন কথা বলে বাবুল আক্তারকে নিয়ে যান। তিনি আরো বলেন, এর আগেও দুইবার পুলিশ বাবুল আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে গেছে। তবে তখন সে তার ফোন রিসিভ করে কথা বলত। কিন্তু গত রাত থেকে এখন পর্যন্ত বাবুল আক্তারের ফোনে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছেনা। ফোন করলে একাধিকবার রিং বাজলও কিন্তু কেউ রিসিভ করছে না। এদিকে বাবুল আক্তারের দুটি ছোট বাচ্চাও বাবাকে না দেখে কান্নাকাটি করছে।[ads1]

এসপি বাবুল আক্তারের অবস্থান জানার জন্য খিলগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঈনুল ইসলামের ও  মতিঝিল বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেনের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করলেও তারা কেউই ফোন রিসিভ করেননি।

বাবুল আক্তারের অবস্থান জানতে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের খিলগাঁও জোনের সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ ইকবাল হোছাইনের সঙ্গেও যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ওনার অবস্থান সম্পর্কে আমি কিছুই জানিনা।

পুলিশের এসপি বাবুল আক্তার এখন কোথায় আছেন এবং তিনি গ্রেপ্তার হয়েছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ঢাকা মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম শাখার অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মোহাম্মদ ইউসুফ আলী বিডিলাইভকে বলেন, বাবুল আক্তার কোথায় আছে আমি সঠিক জানিনা। তবে খোঁজ খবর নিয়ে জানানোর চেষ্টা করছি।

উল্লেখ্য, গত ৫ জুন চট্রগ্রামে এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু খুন হন। এ ঘটনায় বাবুল আক্তার বাদি হয়ে চট্রগ্রামের পাঁচলাইশ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এরপর পুলিশের আইজিপি সদর দপ্তরে একটি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সাতদিনের জঙ্গি বিরোধী অভিযান পরিচালনা করেন।

পুলিশ ইতোমধ্যে বাবুল আক্তারের স্ত্রী মিতুর মিতু হত্যাকান্ডে সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার আবু নসুর গুন্নু (৪৬) ও শাহ জামান ওরফে রবিন (২৮) নামের ওই দুজনকে এর আগে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। এদের মধ্যে রবিনকে গ্রেপ্তার করা হয় হত্যাকান্ডের ছয় দিন পর, নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানা এলাকা থেকে। হত্যাকান্ডের সময় রাস্তার পাশের একটি সিসি ক্যামেরার ভিডিওতে যে যুবককে অনুসরণ করতে দেখা গিয়েছিল, ওই যুবকই রবিন বলে পুলিশের সন্দেহ। তার আগে চট্টগ্রামের হাটহাজারী থেকে গ্রেপ্তার করা হয় একটি মাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবু নসুরকে। তিনি ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কর্মী বলে পুলিশ জানিয়েছে।

জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার আবদুল বাতেন বলেন, বাবুল আক্তারের ব্যাপারে ভাল বলতে পারবেন চট্রগ্রামের পুলিশ। আমরা তেমন কিছুই জানিনা। আর কোন পুলিশ কর্মকর্তাকে পুলিশ ধরে নিয়ে যাবে কেন? তাকে ডেকেতো জিজ্ঞাসাবাদও করতে পারে।

এ ব্যাপারে চট্রগ্রাম মহানগরের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) বলেন, এসপি বাবুল আক্তারের অবস্থান সম্পর্কে আমরা কিছু জানিনা। তাকে এখানে আনা হয়নি। আর আমরা কাউকে আনতেও বলিনি।[ads2]

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More