যখন স্প্যানিশ ফ্লু মহামারীর দ্বিতীয় ধাক্কা চলছিল। স্প্যানিশ ফ্লু-তে বিশ্বজুড়ে ৫ কোটিরও বেশি মানুষ মারা গিয়েছিল।
সে সময় রোগটির বিস্তার রোধের জন্য কয়েকটি রাজ্য তাদের নাগরিকদের কোয়ারেন্টিন করে রাখে। অন্য রাজ্যগুলোতে মুখে মাস্ক পরিধান বাধ্যতামূলক করা হয়। সেই সাথে “যাবতীয় বিনোদনের স্থান” বন্ধ করে দেয়া হয়।
সে বছর অক্টোবরে (যেদিন আক্রান্তের সংখ্যা ৫০,০০০ ছাড়িয়ে গিয়েছিল) সান ফ্রান্সিসকোতে একটি আইন পাশ করা হয়, যার মাধ্যমে কেউ মাস্ক পরিধান না করলে ৫ ডলার থেকে ১০০ ডলার পর্যন্ত জরিমানা করা হবে এবং ১০ দিনের জন্য জেলে পুরা হবে।
আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হতে থাকে, ‘মাস্ক পরো, জীবন বাঁচাও। মাস্ক ইনফ্লুয়েঞ্জার বিরুদ্ধে ৯৯% কার্যকর।’
ধারণা করা হয় ছবির ব্যক্তিরা ওইসব জনসচেতনতামূলক প্রচারণই অংশ। (ছবির সর্বডানে) একজনকে ‘মাস্ক পরো, নয়তো জেলে ঢুকো’ সাইনবোর্ড বহন করতেও দেখা যাচ্ছে। তারা ওই প্রচারণার ঘোর সমর্থকও হতে পারেন।
সান ফ্রান্সিসকোতে মাস্ক পরিধান বাধ্যতামূলক করে ওই আইন পাশের পর আক্রান্তের সংখ্যা কমে যায় এবং বিশ্বের অনেকেই তা অনুসরণ শুরু করে যেমনঃ ফ্রান্সের প্যারিস, ইংল্যান্ডের ম্যানচেস্টার।
প্রচুর মাস্কের দরকার পড়ে। তাই আমেরিকার গীর্জা এবং অনেক জায়গায় ‘গণ-মাস্ক বানানো’ কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়।
নভেম্বরের শেষ দিনটিতে ওই আইনটি বাতিল করা হয়। সান ফ্রান্সিসকো ক্রোনিকাল পত্রিকা লিখে, “ফুটপাত এবং জলাশয়ে মানুষের ফেলে দেয়া মাস্কগুলো একটি জঘন্য মাসের ধ্বংসাবশেষের চিহ্ন হয়ে থাকে।”
কিন্তু আইনটি শিথিল করা অপরিপক্ক সিদ্ধান্ত ছিল। রোগটির তৃতীয় ধাক্কায় মৃতের সংখ্যা আবারও বাড়তে থাকে। তাই আবারও পরবর্তী বছরের শুরুর ছয় সপ্তাহে মাস্ক পরিধান বাধ্যতামূলক করা হয়। যদিও নতুন গঠিত ‘মাস্ক বিরোধী লীগ’ নামের একটি সংগঠন এর প্রতিবাদ জানিয়ে আসছিল।
গার্ডিয়ান অবলম্বনে