জাগপা সভাপতি ও ১৯ দলীয় জোটের অন্যতম শীর্ষনেতা শফিউল আলম প্রধান বলেছেন উত্তাল মার্চ স্বাধীনতার মাসে হচ্ছেটা কি? চেতনাওয়ালীরা বা কি চাচ্ছে? তাবত দুনিয়াকে তারা কি বার্তা দিতে চায়? এসময়ই ভারতীয় সিনেমা ‘গুন্ডে’তে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ ছিনতাই হল। দখলদার সরকার কার্যতঃ নীরব। ভারতের চিহ্নিত দুর্নীতিবাজ ‘সাহারা গ্রুপের’ প্রতীক নিয়ে স্বাধীনতার মাসেই বাংলাদেশের সোনার ছেলেদের টি-টুয়েন্টিবিশ্বকাপে নামিয়ে দেয়া হল। দেশের সম্মান থাকে কোথায় ?
তিনি বলেন, চেতনার নামে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের অর্জনকে ওরা নিলামে তুলেছে। গ্রীনিজ বুকে নাম তুলতে চেতনার সোল এজেন্টরা এখন উন্মাদ। চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, ধাপ্পাবাজি সবই এখন জায়েজ। নতুবা লাখ শহীদের স্মৃতি জড়িত ‘লাখে কন্ঠে জাতীয় সংগীত’ কে কেন্দ্র করে এ বেপরোয়া চাঁদাবাজি কেন? লাখো কন্ঠে জাতীয় সংগীতের উৎসবের নামে এ হচ্ছে স্বাধীনতা যুদ্ধেরই অসম্মান ও অবমাননা।
তিনি বলেন, দেশবাসীর জিজ্ঞাসা এর দায় দেশপ্রেমিক জাতীয় সেনাবাহিনীর কাঁধে চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে কেন? পিলখানায় রক্তের দাগ এখনো শুকায় নাই, সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করতে কোন আধিপত্যবাদী শক্তির স্বার্থ রক্ষা করা হচ্ছে।
তারপরেও জাতীয় সংগীতের প্রতি সম্মান জানিয়ে তিনি জাগপা পরিবার ও দেশবাসীকে এ কর্মসূচীতে অংশ নেয়ার আহ্বান জানান। জনাব প্রধান তরুণ ছাত্রদের উদ্দেশ্যে বলেন, চারদিকে স্বাধীনতার বিরুদ্ধে কালনাগিনীদের বিষাক্ত নিশ্বাস। তোমরাই পারো এ ষড়যন্ত্র রুখে দিতে। প্রয়োজনে রক্ত দিয়ে হলেও দিল্লির শিকল ভাঙতে হবে।
আজ সকাল ১১টায় আসাদ গেইট জিইউপি মিলনায়তনে জাগপা ছাত্রলীগ আয়োজিত স্বাধীনতার মাসÑপ্রাপ্তি ও অর্জন শীর্ষক আলোচনা সভায়
প্রধান অতিথির বক্তব্য দিচ্ছিলেন।
জাগপা ছাত্রলীগ সভাপতি সাইফুল আলমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাব্বির আলম চৌধুরী রাজিবের পরিচালনায় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন খন্দকার লুৎফর রহমান।
বক্তব্য রাখেন জাগপা ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সহ সম্পাদক রাজিউর রহমান রাজু, সাংগঠনিক সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম রুবেল, প্রচার সম্পাদক নাহিদ হাসান, কেন্দ্রীয় নেতা মিনহাজ রাব্বি প্রধান, শ্যামল চন্দ্র সরকার, জাহিদুল ইসলাম রুবেল প্রমুখ।