তাদের বাস ভারতের গুজরাটে। বাবা রমেশভাই জানান, বাচ্চারা যদি এভাবে বাড়তে থাকে, তবে ভয়াবহ সমস্যায় পড়বে। তখন হয়তো তাদের বাঁচানোই যাবে না।
যোগিতা ও আনিসা প্রতিদিন ১৮টি চাপাতি, দেড় কেজি ভাত, দুই বোল তরকারি, ৬ প্যাকেট ক্রিপস, ৫ প্যাকেট বিস্কুট, ১২টা কলা এবং এক লিটার দুধ গ্রহণ করে।
তাদের মা প্রাগা বেন (৩০) প্রায় সারা দিন ব্যয় করেন তাদের জন্য খাবার প্রস্তুত করতে।
তিনি বলেন, সকালে আমার দিন শুরু হয় ৩০টা চাপাতি ও এক কেজি সব্জি কারি রান্না করতে। এটা শেষ করে আরো খাবার রান্নায় মেতে উঠি।
তিনি জানান, বাচ্চা তিনটির ক্ষিধে কখনো মেটে না। তারা সারাক্ষণ খাবারের জন্য কান্না করে।
এই পরিবারটির আরেকটি মেয়ে আছে। ছয় বছর বয়সী, নাম ভাবিকা। সে স্বাভাবিক শিশু। চিকিৎসকেরা বলছেন এটা একটা রোগ। চিকিৎসা করা হলে সেরে যাবে।
রমেশভাই বলেন, যোগিতা কিন্তু জন্মগ্রহণের সময় খুবই দুর্বল ছিল। ওজন ছিল মাত্র এক কেজি। তার স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য তাকে খাওয়ানো হতো বেশি বেশি। এক বছর পর তার ওজন দাঁড়ায় ১২ কেজি। আনিসাও একইভাবে বাড়তে থাকে।
দিনমজুর রমেশভাইয়ের মাসিক আয় মাত্র তিন হাজার রুপি।
তিন বোনের খাদ্য তালিকা
ভোর ৬টা
৫টা কলা
এক লিটার দুধ
ছয়টা চাপাতি
এক বোল সব্জি
সকাল ১০টা
৫টা চাপাতি
এক বোল ঘোল
এক বোল সব্জি
বেলা ১২.৩০
সাড়ে তিন পাউন্ড চাপাতি
দুটি কলা
এক বোল সব্জি
চার প্যাকেট ক্রিপস
বেলা ৩টা
বজরার রুটি
সব্জি দিয়ে তিন পাউন্ড ভাত
বিকেল ৫টা
১ লিটার কোমল পানীয় (কোকাকোলা বা পেপসি)
৬ প্যাকেট ক্রিপস
৫ প্যাকেট বিস্কুট
৫টা কলা
রাত ৮টা
৬টা চাপাতি
এক লিটার দুধ
ঘোল দেড় লিটার
দুই বোল সব্জি।
সূত্র : ডেইল মেইল।