পুরো প্রস্তুতি নিয়ে আত্মহত্যা করলেন ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের এক ঋণগ্রস্ত চাষী। নিজের ‘শেষকৃত্যে ‘হাজির থাকতে’ পাড়া-প্রতিবেশীদের ‘আমন্ত্রণ’ জানান শেষরাও শেজুল নামে মারাঠওয়াড়ার জালনা জেলার ৪০ বছর বয়সি ওই কৃষক। তখন সবাই ভেবেছিল, মস্করা করছেন শেষরাও। কেউ তার কথায় গুরুত্বই দেয়নি। কিন্তু তাদের ধারণা ভুল প্রমাণ করে পরদিনই গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি।
স্তব্ধ, হতবাক প্রতিবেশীরা, তার পরিবার। মুখের কথাকে যে সত্যি প্রমাণ করে ছাড়বেন শেষরাও, ভাবতেই পারছেন না তারা। এক গ্রামবাসী বলেছেন, শেষরাও আমাকে, গ্রামের আরো অনেককে বলেছিল, আমাদের ছেড়ে চলে যাবে। শেষকৃত্যে থাকার জন্য গ্রামবাসীদের আমন্ত্রণ করে, কিন্তু ওর কথায় গুরুত্বই দেয়নি কেউ। পরদিন সকালে দেখি, নিম গাছে ওর দেহ ঝুলছে। শেষরাও দু একর জমির মালিক।
খরার দাপটে মার খেয়েছে তার সয়াবিন চাষ। তার ওপর ৮০ হাজার টাকা ঋণও করেছেন। কী করে মেয়ের বিয়ে দেবেন, সেই দুশ্চিন্তাও গ্রাস করেছিল তাকে। মহারাষ্ট্রে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে আগামী মাসের ‘মেক ইন ইন্ডিয়া উইক’ কর্মসূচির দিকে তাকিয়ে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ফড়নবিশ। শেষরাওয়ের আত্মহত্যাকে ইস্যু করে মুখপাত্র ‘সামনা’-য় শরিক শিবসেনা কটাক্ষ করেছে, শেষরাওয়ের আমন্ত্রণ কি মন্ত্রালয়ে পৌঁছেছিল? এমন চলতেই থাকলে আমরা কি এটাকে মেক ইন মহারাষ্ট্র বলব? শেষরাও ও তার মতো হাজার হাজার চাষির আত্মহত্যাকে কি মেক ইন মহারাষ্ট্রের ফল বলা উচিত?