টাইটানিকের জাহাজ-ডুবি সম্পর্কে সকলেরই কম বেশি ধারণা আছে। কিন্তু যদি বলা হয় এর ডুবে যাওয়ার পেছনে রয়েছে একটি অভিশপ্ত মমির অভিশাপ, তাহলে?!!!
অনেকর মতে, বিশাল টাইটানিকের ডুবে যাওয়ার পিছনে রয়েছে একটি মমির অভিশাপ। বিজ্ঞানের অগ্রসরতার এ যুগেও আপনার কাছে তাই-ই মনে হবে যদি আপনি এর পেছনের ঘটনাটি জানেন।
১৮৯০ এর শেষ দিকে একজন ধনাঢ্য ব্রিটিশ ব্যক্তি লুক্সর এর প্রত্নতত্ত্ববিদদের কাছ থেকে রাণী আমেনন্ডরা এর মমি সংগ্রহ করেন। তিনি এটি তার দেশে নিয়ে যাওয়ার জন্য জাহাজে তুলে নেন। কিন্তু মমিটি বন্দরে পৌঁছালে এটা গ্রহণ করার জন্য কাউকে পাওয়া যায় নি। এমন কি ওই ব্যক্তিকেও কোথাও খুঁজে পাওয়া যায় নি। একদম গায়েব হয়ে যান। তার ৩ জনসঙ্গীর একজনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়, একজন দুর্ঘটনায় একটি হাত হারান এবং অপরজন তার সর্বস্ব হারিয়ে দেউলিয়া হয়ে যান।
মমিটি ইংল্যান্ডে পৌঁছালে একজন পুরনো মালামালের ব্যবসায়ী মমিটি কিনে নেন। দুর্ভাগ্য তারও পিছু ছাড়ে না। তার পরিবারের সকলে সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হন এবং তার বাসস্থান আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। তখন থেকে মমিটি অভিশপ্ত বলে গণ্য করা হয় এবং তিনি এটিকে ব্রিটিশ জাদুঘরে দান করে দেন।
এখানেই শেষ নয়, মিউজিয়ামের কর্মকর্তা এবং প্রহরীরা কফিনের দেয়ালে সজোরে মাথা ঠুকার এবং গোঙ্গানির শব্দ শুনতে পান। পরদিন জাদুঘরের জিনিসপত্র ছড়ানো ছিটানো পড়ে থাকতে দেখা যায় যদিও তার কোন কারণ খুঁজে পাওয়া যায় নি। অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই একজন প্রহরীর মৃত্যু হয়। ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে একজন ফটোগ্রাফার কফিনটির ছবি তুলেন। ছবিটি এতটাই ভয়ংকর ছিল যে তিনি সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করেন। এসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে জাদুঘর কর্তৃপক্ষ মমিটি সরিয়ে ফেলতে চাইলেও দর্শনার্থীদের প্রবল আগ্রহের কারণে তা সম্ভব হয় নি।
কিছুদিন পর একজন আমেরিকান প্রত্নতত্ত্ববিদ মমিটি কিনে টাইটানিক জাহাজে তুলে দেন। তার পরের ঘটনা তো আমাদের সকলেরই জানা।
ধারণা করা হয় যে, টাইটানিকের দুর্ঘটনার পর প্রত্নতত্ত্ববিদ জাহাজের ক্রুদের ঘুষ দিয়ে এটিকে লাইফ বোটে তুলে দেন এবং কিছুদিন পর এটিকে নিউ ইয়র্কের কাছে খুঁজে পাওয়া যায়। মমিটিকে বিভিন্ন সময়ে আরও কয়েকবার বিভিন্ন জাহাজে তোলা হয় এবং তাদেরও নির্মম পরিণতির শিকার হতে হয়। কিন্তু টাইটানিক দুর্ঘটনায় যারা বেঁচে গিয়েছিলেন তাদের কাউকেই লাইফবোটে মমি থাকার কথা বলতে শোনা যায়নি।
গল্পটির উৎপত্তি সম্ভবত দুজন ব্রিটিশ, ডগলাস মারি এবং টি ডব্লিও স্ট্যাটের মাধ্যমে। তারা বলেন যে তাদের একজন পরিচিত তার বাসায় একটি মমি এনে রাখলে পরদিন দেখেন ঘরের সবকিছু ভাঙ্গা। পরদিন অন্য ঘরে মমিটি রাখলে সেখানেও একই ঘটনা ঘটে! তারা পরবর্তীতে ব্রিটিশ যাদুঘরে যান সেখানে কফিনের ঢাকনা খুলে একটি যন্ত্রনাকাতর মুখ দেখে ভয় পেয়ে যান যেটিকে তারা পাশবিক বলে বর্ণনা করেন যদিও কফিনে কোনো মমি ছিলনা।! সূত্র: ওয়েবসাইট