ভালোবাসা দিবসে আক্রান্ত হলেন বিবাহিত প্রেমিক যুগল। সালিশি সভায় নিজেদের পরিবারের দায়িত্ব নিতে বলা হলেও তা অগ্রাহ্য করে ফের গ্রাম ছাড়ে ওই দু’জন। শুক্রবার গ্রামে ফিরে এলে বিবাহিত হয়েও প্রেম করার অভিযোগে ওই যুগলের মাথা মুড়য়ে, মুখে কালি লেপে রাস্তায় ঘোরালো গ্রামবাসীরা। ভালোবাসা দিবসে এমন ঘটনা ঘটিয়ে বিশ্ব মিডিয়ায় জায়গা করে নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া জেলা উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালি।
সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগরের অপর দিকের পশ্চিমবঙ্গের সন্দেশখালি থানার বেড়মজুর পঞ্চায়েতের ঝুপখালি গ্রামে বসবাস করেন বছর চল্লিশের আদিবাসী প্রেমিক যুগল পরিমল সরদার ও অঞ্জলি ওরফে শীতলা সরদার। বাসিন্দাদের দাবি সন্তান-সন্ততি ও পরিবার থাকা স্বত্বেও গত কয়েক বছর ধরে অবৈধ সম্পর্ক বজায় রেখেছেন। পরে ২০০৯ সালের আয়লার দুর্যোগের ফলে গ্রাম ছেড়ে অন্যদের সঙ্গে এলাকা ছেড়ে অন্যত্র চলে যায় ওই প্রেমিক যুগল। দুর্যোগের পর অন্যরা ফিরে এলেও গ্রামে দেখা পাওয়া যায়নি ওই দু’জনের। গ্রামের লোকেরা ধরেই নেন, তারা অন্যত্র সংসার পেতেছেন। কিন্তু, সকলকে অবাক করে বছর দুই আগে গ্রামে ফিরে আসেন তারা। তাদের নিয়ে গ্রামে সালিশি বসে। গত শুক্রবার ফের গ্রামে ফিরে আসে তারা। এর পরই গ্রামের মহিলারা একত্র হয়ে স্থির করেন, ভালোবাসা দিবসেই ‘শাস্তি’ দিতে হবে তাঁদের। সেই মতো রোববার সকালে ওই দু’জনের মাথা মুড়য়ে ফেলে মুখে চুনকালি মাখিয়ে গ্রামের রাস্তায় ঘোরান গ্রামবাসীরা। যদিও গোটা ঘটনায় নিজেদের ‘নির্দোষ’ বলে দাবি করে ওই যুগল অবশ্য জানিয়েছেন, প্রেম নয়, কাজের সুবাদেই বেঙ্গালুরুতে এত দিন ছিলেন তারা।
Prev Post