ভারতের অভিনেত্রী রাইমা সেন লিজান হারবালের প্রচারণায় অংশ নিতে ঢাকায় এসেছেন । ৫ তারিখ বৃহস্পতিবার সকালে জেট এয়ারওয়েজের একটি উড়োজাহাজে তিনি ঢাকায় আসেন।
দুপুর ১২টায় প্রসাধনপণ্য প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান লিজান হারবালের ডিলার সম্মেলনে যোগ দেন রাইমা। তিনি এই সম্মেলনে সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া যুদ্ধশিশু সম্পর্কে বলেন, এই সিনেমার আগে আমি মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে তেমন কিছুই জানতাম না। যখন স্ক্রিপ্টটা পড়লাম, এ বিষয়ে জানার আগ্রহ তৈরি হলো। তখন আমি গুগল করে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে অনেক পড়াশোনা করলাম। আমার তারপর মনে হল, অনেকেই বিষয়টা নিয়ে খুব বেশি কিছু জানেন না। আমি তাই আমার পরিচালক মৃত্যুঞ্জয় দেবব্রতকে বলেছিলাম, কলকাতায়ও সিনেমাটি মুক্তি দিতে। তাহলে হয়ত বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আরও বেশি করে মানুষ জানতে পারবে।
রাইমা বলেন, ‘প্রায় পাঁচ-ছয় বছর আগে বাংলাদেশে এসেছিলাম। এবার এসে অনেক ভালো লাগছে।’ কিন্তু হায় এরই মাঝে মাইক্রোফোন কেড়ে নিলেন লীজান মেহেদীর ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সহধর্মিণী তানিয়া হক। তিনি তার কথা বলা শুরু করলেন। রাইমা কি বলবেন বুঝতে পারছিলেন না। তিনি শুধু অভিনয় করে যাচ্ছিলেন। অনেক কথা বলার পর রাইমার হাতে আবার মাইক্রোফোন ফিরিয়ে দেন তানিয়া। এবার রাইমা আর কোনো কথা বললেন না। শুধু বললেন, কোনো প্রশ্ন আছে? সামনে থাকা সাংবাদিকদের অনেকেই বললেন, ‘হ্যাঁ আছে অনেক প্রশ্ন’।
প্রথম প্রশ্নই রাইমা অভিনীত ‘যুদ্ধশিশু’ ছবিটি নিয়ে। বাংলাদেশে ‘যুদ্ধশিশু’ মুক্তি ও এ ছবিতে অভিনয় বিষয়ে রাইমা বলেন, এটি একটি ভালো কাজ হয়েছে। আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে জানতে পারবে এ ছবি দেখলে। এরপরে একের পর এক প্রশ্নের উত্তর দিয়ে গেলেন কলকাতার এই অভিনেত্রী।