হেডলাইনে নারী শব্দের উল্লেখ থাকলেও, আমি কিন্তু প্রথমে টিনএজ মেয়েদের কথা বলব। মেয়েরা, তোমরা কিন্তু ভ্রু কোঁচকাবে না। তোমাদের যাদের বয়স ১৩ থেকে ১৯ এর মধ্যে, তাদের চাওয়া পাওয়া বাস করে কিন্তু এক বড়সড় স্বপ্নের দেশে। অনন্ত চাওয়া, একেক জনের ক্ষেত্রে একেক রকম। শুরু করলে শেষ করা সম্ভব হবে না। তাই একটু এগিয়ে যাচ্ছি।
বয়স যখন ৩০-৩৯ – ভাল ব্যাংক ব্যালান্স থাকা জরুরী। কথা বলার থেকে শুনবে বেশি। রান্না খেয়ে প্রশংসা করতে হবে (অখাদ্য হলেও)। কাজ সবাই করে, ওটার বাহানা দেওয়া চলবে না। ম্যানার জানতে হবে। জন্মদিন এবং অ্যানিভার্সারি ভোলা চলবে না।
বয়স যখন ৪০-৪৯ – নোংরা থাকা চলবে না, পরিষ্কার পরিছন্ন থাকাতে হবে। টয়লেট সীট নামিয়ে আসতে হবে। অন্তত উইক-এন্ডে সেভ করতে হবে। সংসারের খরচের টাকাটা যেন ঠিকমত আয় করতে পারে। স্ত্রীর কথা শুনে সব সময় হ্যাঁ সূচক মাথা নাড়তে হবে। এমন একটা শাট পরতে হবে যেটা পেট (ভুরি) ঢেকে রাখতে সক্ষম।
বয়স যখন ৫০-৫৯ – নাক ও কানের চুল নিয়মিত পরিস্কার করতে হবে। পরিস্কার মোজা ও আন্ডারওয়্যার পরতে হবে। মাঝে মধ্যে সেভ করা জরুরী। কথা শুনতে শুনতে ঘুমিয়ে পড়া চলবে না। নাক ডাকা চলবে না। বেশী বেশী ধার না করাই ভাল। সপ্তাহে একদিন সঙ্গে বসে বাইরে গিয়ে খাওয়ার মতো ইচ্ছে থাকতে হবে।
বয়স যখন ৬০-৬৯ – ঘুমের সময় নাক ডাকার শব্দ একটু কম হতে হবে। হাসার সময় বুঝতে হবে কেন সে হাসছে। দাঁত (কৃত্রিম) কোথায় রেখেছে মনে রাখতে হবে। খাওয়া নিয়ে যন্ত্রনা করা চলবে না। টাকা-পয়সার চিন্তা বাদ দিয়ে বউয়ের উপর ভার ছেড়ে দিতে হবে। ছোট বাচ্চাদের ভয়ের কারন হওয়া চলবে না।
বয়স যখন ৭০-৭৯ – টয়লেট যেন টয়লেটে হয় সেটা মনে রাখতে হবে। শ্বাস নেওয়ার মত শারীরিক শক্তি থাকতে হবে। মরার আগে বেশী খরচের অছিয়ত করে যাওয়া চলবে না। মরার আগেই সব সম্পত্তি চুলচেরা হিসাব করে ভাগ করে দিতে হবে।