আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের নোয়াখালী-৪ আসনের এমপি একরামুল করিম চৌধুরীর বাড়িতে আয়োজিত মেজবানে প্রায় অর্ধলাখ নেতাকর্মী নিয়ে মধ্যাহ্নভোজে অংশগ্রহণ করেন। এ সময় ঐক্যের বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন ওবায়দুল কাদের।
মঙ্গলবার দুপুরে কবিরহাট উপজেলার সোন্দলপুর ইউনিয়নের এমপি একরাম চৌধুরীর নিজ গ্রামের বাড়িতে আসেন ওবায়দুল কাদের।
টানা তৃতীয়বার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হওয়ায় তাকে ফুলেল সংবর্ধনা ও নেতাকর্মীদের সমন্বয়ে ৫০ হাজার মানুষের মেজবানের আয়োজন করেন এমপি একরাম।
বহুল আলোচিত এ মেজবানে নোয়াখালী জেলার বিভিন্ন উপজেলা ছাড়াও পার্শ্ববর্তী ফেনী জেলা ও সংশ্লিষ্ট উপজেলার নানা পর্যায়ের দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের সমাবেশ ঘটে এখানে চোখে পড়ার মতো।
এ ঘটনা নোয়াখালীর জেলার সর্বত্র ‘টক অব দ্য নোয়াখালী’তে পরিণত হয়েছে। এ বিশাল মেজবানির আয়োজনে ছিল সুশৃঙ্খল ব্যবস্থাপনা।
এ সময় একরামুল করিম চৌধুরী বলেন, উনিও (ওবায়দুল কাদের) অসুস্থ ছিলেন, আমিও অসুস্থ ছিলাম। এখন তিনি (ওবায়দুল কাদের) সুস্থ এবং আমিও সুস্থ। আমাদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি ছিল। এখন আর কোনো ভুল বোঝাবুঝি নেই। আমি চাই আগামীর দিনগুলো ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে।
এর জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমার নির্বাচনী এলাকা কবিরহাট উপজেলায় অনেক উন্নয়ন হয়েছে। তবে নেতাকর্মীদের চাকরি দরকার। অন্যায্য দাবি করলে তো হবে না। অনেকের আবেদনের যোগ্যতা নেই, কিন্তু আমাকে চাকরির জন্য বলে। আমি কিভাবে চাকরি দেব। যোগ্য হলে, লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে, তাদেরই তো চাকরি হবে। আমিও চেষ্টা করব।
তিনি বলেন, আমি বিশৃঙ্খলা চাই না। সবাই মিলে সুন্দর পরিবেশে আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনাকে জয়যুক্ত করে আবারো ক্ষমতায় আনতে হবে। সেক্ষেত্রে আমাদের ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই। ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগ অনেক বেশি শক্তিশালী।
কবিরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এমপি একরাম চৌধুরীর অগ্রজ হাজী মোহাম্মদ ইব্রাহিমের সভাপতিত্বে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তার (একরাম চৌধুরীর) বেয়াই ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিম, নোয়াখালী-৩ আসনের সংসদ সদস্য মামুনুর রশিদ কিরণ, নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম, কবিরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র জহিরুল হক রায়হানসহ জেলা-উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভা নির্বাচনের নির্বাচনি ইশতেহার ঘোষণাকালে নোয়াখালীর অপরাজনীতি, নিয়োগ বাণিজ্য, টেন্ডারবাজিসহ নানা অনিয়মের প্রসঙ্গ তোলেন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই আবদুল কাদের মির্জা। ওই সব অভিযোগের তীর ছিল এমপি একরামুল করিম চৌধুরীর দিকে।
jugantor