চট্টগ্রামের বোয়াখালীতে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে একটি ভোটকেন্দ্র থেকে ইভিএম মেশিনের ব্যালট ইউনিট নিয়ে বাইরে যাওয়ার ঘটনায় এক আওয়ামী লীগ নেতাকে আটক করেছে পুলিশ।
আটক রতন চৌধুরী বোয়ালখালী উপজেলার জৈষ্ঠপুরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
জানা গেছে, আজ বৃহস্পতিবার বোয়ালখালী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চেয়ারম্যান পদের উপনির্বাচন ছিল। দুপুর ১২টার দিকে জৈষ্ঠপুরা রমণী মোহন উচ্চ বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে ভোটগ্রহণ চলাকালে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের এক নেতা ইভিএম মেশিনের একটি ব্যালট ইউনিট নিয়ে বাইরে চলে যান।
এটি নিয়ে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থীর নির্বাচনী ক্যাম্পে যান।
এ তথ্য ছড়িয়ে পড়লে রতন চৌধুরী মেশিনটি ফেরত দিতে যান এবং সে সময় পুলিশ তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
যোগাযোগ করা হলে চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও বোয়ালখালি উপাজেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘আমরা ভোটকেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসারকে বিষয়টি ব্যাখ্যা করার জন্য কারণ দর্শানোর নির্দেশ দিয়েছি। পুলিশকেও এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি।’
‘প্রিজাইডিং অফিসার প্রাথমিকভাবে আমাদের বলেন যে ব্যালট প্যানেলটি অতিরিক্ত ছিল এবং এটি ভোটের কাজে ব্যবহার হচ্ছিল না,’ বলেন তিনি।
রিটার্নিং কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেন আরও বলেন, ‘নিয়ম অনুযায়ী কেন্দ্র থেকে কোনো নির্বাচনী সামগ্রী বাইরে যেতে পারে না। যেহেতু আওয়ামী লীগ নেতা নিয়ম লঙ্ঘন করেছেন, আমরা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।’
যোগাযোগ করা হলে বোয়ালখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রতনকে আটক করা হয়েছে।’
তিনি এ বিষয়ে আর কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তিনি বলেন, ‘আমি থানার বাইরে আছি এবং থানায় ফিরে গিয়ে আপনাকে বিস্তারিত বলতে পারব।’
বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী কাজী আয়েশা ফারজানা ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসন সুষ্ঠু নির্বাচনের আশ্বাস দিলেও আজ দেখলাম সব ভোটকেন্দ্র ক্ষমতাসীন দলের লোকদের দ্বারা দখল হয়ে গেছে।’
‘আমার বেশিরভাগ এজেন্টকে ভোটকেন্দ্র থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এমনকি একজন আওয়ামী লীগ নেতা ভোটকেন্দ্র থেকে ইভিএম মেশিন ছিনিয়ে নেওয়ার সাহস করেছেন যা নজিরবিহীন,’ বলেন তিনি।