তুরস্কের কাহরামানমারাস সুতচু ইমাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশি শিক্ষার্থী গোলাম সাইদ রিংকুকে ধ্বংসস্তূপ থেকে ৩৭ ঘণ্টা পর জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার রাতে তুরস্কে বাংলাদেশ দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স রফিকুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘রিংকুকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। এরপর তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।’
এদিকে, রাত ১০টা ২০ মিনিটের দিকে তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় বসবাসরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থী হাফিজ মুহাম্মদ ডেইলি স্টারকে একই তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘উদ্ধারকারীদের সঙ্গে থাকা বাংলাদেশি শিক্ষার্থী জাকারিয়া তুরস্কের স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা ১৭ মিনিটের দিকে আমাদের জানিয়েছেন, রিংকুকে ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।’
হাফিজ মুহাম্মদ বলেন, ‘উদ্ধারকারীরা রিংকুকে হাসপাতালে নিয়ে গেছেন। বর্তমানে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানতে পেরেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘রিংকু যে ভবনটিতে বাস করতেন, সেটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থলের কাছেই ছিল ভবনটি। এর আগে, গতকাল ওই ভবনের ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে আরেক বাংলাদেশি নূরে আলম বের হয়ে আসতে সক্ষম হয়েছেন।’
বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। মঙ্গলবার রাতে এক ফেসবুক পোস্টে তিনি বলেন, ‘তুরস্কে গোলাম সাঈদ রিংকুকে ভবনের নিচে চাপা পড়া অবস্থা থেকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে চিকিৎসার জন্য। তিনি শারীরিকভাবে প্রচণ্ড দুর্বল।’