কাজ শেষ না করেই তড়িঘড়ি করে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেল উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তড়িঘড়িতে উত্তরা থেকে মিরপুরবাসীর ছয় বছরের ভোগান্তির অবসান হলেও দিনভর ছিলো দুর্ভোগ।মেট্রোরেল উদ্বোধনের সময় উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত এই রাস্তার দুই পাশের হাজার হাজার মানুষকে করা হয় অবরুদ্ধ। শুধু তাই নয় গত কেয়েকদিনর ধরে এলাকা গুলোতে ৭ দফা নির্দেশনা দেয়ায় ভোগান্তির নতুন রুপ নেয়।
ঢাকা মহানগর পুলিশের সাত দফা এই নির্দেশনা যেমন জনমনে হাস্যরস তৈরী করেছে তেমনিই নগরবাসীর ভোগান্তির কারণ কারও।
নির্দেশনাই বলা হয়েছে, মেট্রোরেলের দুই পাশের বাসাবাড়ির লোকজন ওই সময় ভবনের বেলকনি কিংবা ছাদে কাপড় শুকাতেও দিতে পারবে না। বাসার দরজা-জানালা বন্ধ রাখতে হবে। দুই পাশের বাণিজ্যিক ভবন ও হোটেলে এই দিন কেউ অবস্থান করতে পারবে না। এমনকি রাস্তার দুইপাশের ব্যাংক এবং এটিএম বুথগুলোও বন্ধ রাখতে হবে।
ডিএমপি বলছে, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করতেই তারা এসব বিধি নিষেধ দিয়েছে।
এখন প্রশ্ন হল-নাগরিকরা কি শেখ হাসিনার শত্রু? তিনি নাগরিকদেরকে এতটা ভয় পাচ্ছে কেন? শেখ হাসিনাতো প্রতিদিন দাবি করছেন, এদেশের জনগণ আওয়ামী লীগ পছন্দ করে। তাই তারা তার দলকে বারবার ভোট দিয়ে নির্বাচিত করে। নাগরিকরা যদি শেখ হাসিনাকে এতটাই পছন্দ করে, তাহলে তিনি এই নাগরিকদেরকে এতটা ভয় পান কেন? একটা ট্রেন উদ্বোধনের জন্য তিনি হাজার হাজার মানুষকে অবরুদ্ধ করবেন কেন?
সরকারের এমন কর্মকাণ্ডে প্রমাণ হয় এদেশের মানুষ শেখ হাসিনাকে একেবারেই পছন্দ করে না। ভোট ডাকাতি, ব্যাংক ডাকাাতি, দুর্নীতি-লুটপাট, গুম-খুন আর নির্যাতন-নিপীড়নের কারণে শেখ হাসিনা এখন মানুষের সামনে দিয়ে চলতেও ভয় পায়।
দেখা গেছে, ডিএমপির নির্দেশনাগুলো গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই এনিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ প্রচন্ড ক্ষোভ প্রকাশ করছে। তারা সরকারের এই অদ্ভুত সিদ্ধান্তের কঠোর সমালোচনা করছে।
কেউ কেউ বলছেন, শুধু বিরোধী দলের সমাবেশ নয়, সরকার কিছু করলেও মানুষকে অবরুদ্ধ করে ফেলে। দেশের মানুষকে অবরুদ্ধ রাখা শেখ হাসিনার মুদ্রা দোষে পরিণত হয়েছে। আসলে জনগণের সামনে দিয়ে চলার সৎসাহস হাসিনার নাই। সৎসাহস থাকলে মেট্রোরেলের জন্য তিনি মানুষকে এভাবে অবরুদ্ধ করার নির্দেশ দিতেন না।