যারা কুইক রেন্টাল নিয়ে বেশি কথা বলবে তাদের বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জাতীয় সংসদে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে কুইক রেন্টালসহ বিভিন্ন মেগা প্রকল্পে দুর্নীতির বিষয়ে গণফোরামের সংসদ সদস্য মোকাব্বির খানের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
মোকাব্বির খান সম্পূরক প্রশ্নে বলেন, আমাদের অর্থনীতিতে আজকের সংকটে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধই কেবল দায়ী নয়, আমাদের অভ্যন্তরীণ অনেক বিষয় আছে। আর্থিক খাতে বিশৃঙ্খলা, মেগা প্রকল্পগুলোতে ব্যাপক দুর্নীতি, হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার, ব্যাংকসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক লুটপাট এবং বিদ্যুৎ খাতে কুইক রেন্টালের ইনডেমনিটি এরকম অনেক কিছুই দায়ী। এর ফলাফল কী হয়েছে? ডলার সংকট, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, সাধারণ মানুষের জীবনজীবিকা আজ দুর্বিষহ। প্রধানমন্ত্রী এ সত্যতা স্বীকার করে ব্যবস্থা নেন বলে তাকে ধন্যবাদ জানাই।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই যে কুইক রেন্টালের কথা বলা হচ্ছে, হ্যাঁ- এগুলোর প্রয়োজন ছিল। কুইক রেন্টালের মাধ্যমে বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো এনেছিলাম বলেই বিদ্যুৎ আমরা মানুষকে দিতে পেরেছিলাম।
তিনি বলেন, বিএনপির শাসনামলে মানুষ বিদ্যুৎ পেত না। দিনের পর দিন বিদ্যুতের জন্য হাহাকার ছিল। ইন্ডাস্ট্রিগুলো চলতে পারত না। গ্যাসের জন্য হাহাকার ছিল। আমরা ক্ষমতায় এসে এসব সমস্যার সমাধান করি। সে অনুযায়ী আমরা ২৫ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে সক্ষম হয়েছি। এরপরও যারা কুইক রেন্টাল নিয়ে বেশি কথা বলবেন তাদের বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেওয়া হবে।