যুক্তরাষ্ট্রে প্রথমবারের মতো চালু করা হলো ‘ইউনূস সামাজিক ব্যবসা কেন্দ্র’। ম্যাসাচুসেটেস অঙ্গরাজ্যের ওরচেস্টার শহরে ঐতিহ্যবাহী বেকার কলেজে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নোবেল লরিয়েট প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের উপস্থিতিতে ‘ইউনূস সামাজিক ব্যবসা কেন্দ্র’ প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেন বেকার কলেজের প্রেসিডেন্ট ড. রবার্ট ই. জনসন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এটাই প্রথম ‘ইউনূস সামাজিক ব্যবসা কেন্দ্র’ বলে দাবি করা হয়। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা বাংলা প্রেস।
ম্যাসাচুসেটস স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে বৈশ্বিক উৎকর্ষের অন্যতম কেন্দ্র। কেন্দ্রিয় ম্যাসাচুসেটসে অবস্থিত ২৩০ বছরের পুরনো ঐতিহ্যবাহী এ বেকার কলেজের ঐতিহাসিক মেকানিক্স হলে ঐদিন প্রফেসর ইউনূস কীনোট স্পিকার হিসেবে প্রেসিডেনসিয়াল বক্তৃতাও প্রদান করেন। ‘ইউনূস সামাজিক ব্যবসা কেন্দ্র’ স্বাস্থ্যসেবা সহ সমাজের বিভিন্ন সমস্যার টেকসই সমাধান সৃষ্টির লক্ষ্যে কাজ করবে বলে উল্লেখ করা হয়।
প্রায় দেড় হাজার দর্শক-শ্রোতার অংশগ্রহণে এই জনাকীর্ণ বক্তৃতায় প্রফেসর ইউনূস তরুণ সমাজকে ভিন্নভাবে চিন্তা করতে, তাদের সৃষ্টিশীলতা দিয়ে তারা যে রকম পৃথিবী চায় বর্তমান পৃথিবীকে সেভাবে গড়ে নিতে এবং সমাজে প্রচলিত চাকরী খোঁজার মত সংকীর্ণ ভূমিকা থেকে বেরিয়ে আসতে চ্যালেঞ্জ জানান। তিনি বেকার কলেজকে ‘ইউনূস সামাজিক ব্যবসা কেন্দ্র’ চালুর জন্য অভিনন্দন জানান যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রূপান্তরমূলক পরিবর্তন সৃষ্টি সহ নানাবিধ ইতিবাচক পরিবর্তনে ভূমিকা রাখবে। উপস্থিত নেতৃস্থানীয় ব্যবসায়ীগণ, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিবৃন্দ এবং শিক্ষক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিবৃন্দ তাঁর বক্তৃতার পর দাঁড়িয়ে তুমুল করতালির মাধ্যমে প্রফেসর ইউনূসকে অভিনন্দন জানান।
ম্যাসাচুসেটসের দীর্ঘদিনের কংগ্রেসম্যান জিম ম্যাকগভার্ন এই বক্তৃতা অনুষ্ঠানে যোগ দেন এবং প্রফেসর ইউনূসের বক্তৃতার পর তাঁর সাথে এক বৈঠকে মিলিত হন। এই অনুষ্ঠানে বেকার কলেজের প্রেসিডেন্ট ড. রবার্ট ই. জনসন প্রফেসর ইউনূসকে কলেজের সর্বোচ্চ সম্মাননা ‘প্রেসিডেনসিয়াল মেডেল’ প্রদান করেন। এ ছাড়াও শিক্ষার্থীদের মধ্যে রায়ান কাস্ট্রো, রেবেকা গ্যাগনন, রাকিবুল হৃদয়, কেলী হোয়েকস্ট্রা,অ্যারোন জোন্স, সাম কানু, অ্যামেলিয়া কারাইয়ান্স, র্যাকুয়েল নাইটস, অ্যামিলি ম্যাকেঞ্জি,থামিরেস নুনেস ও কেরী সাল্টভিক প্রফেসর ইউনূস সাক্ষাৎ করেন। এর আগে শিক্ষার্থীদের মাঝে নোবেল লরিয়েট প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে লেখা রচনা প্রতিযোগিতাও অনুষ্ঠিত হয়।