বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমেদ র্যাবের হাতে আটক আছেন-দলটির চেয়ারপারসনের বেগম খালেদা জিয়ার এমন মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় একাধারে বিব্রত এবং ক্ষুব্ধ হয়েছেন বাহিনীটির কর্মকর্তারা। আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া না জানালেও গণমাধ্যমকে র্যাব কর্মকর্তারা বলেন, সাবেক একজন প্রধানমন্ত্রীর কোনো বাহিনীকে এভাবে আক্রমণ করে কথা বলা উচিত নয়।
শনিবার রাতে এক অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়া বলেন, দুই মাস আগে সালাহউদ্দিন আহমেদকে যে র্যাব তুলে নিয়ে গেছে তার প্রমাণ আছে বিএনপির কাছে।
যোগাযোগ করা হলে র্যাবের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান বলেন, ‘জোর দিয়ে বলতে পারি সালাহউদ্দিন আহমেদকে আমরা আটক করিনি। র্যাব যদি কাউকে আটক করে থাকে নির্ধারিত সময়ে থানায় হাজির করে’। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমারও তাকে (সালাহউদ্দিন আহমেদ) খুঁজছি’।
তবে খালেদা জিয়ার বক্তব্যে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন র্যাবের সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম)মাসুদুর রহমান। ঢাকাটাইমস টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়ার কাছে কোনো প্রমাণ থাকলে গণমাধ্যমের কাছে তিনি প্রকাশ করুন’।
বিএনপি-জামায়াত জোটের হরতল-অবরোধ চলাকালে আত্মগোপনে যাওয়া বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমেদ গত ১০ মার্চ নিখোঁজ হন বলে দাবি করেছে বিএনপি। তার দল এবং স্বজনদের অভিযোগ, উত্তরার একটি বাসা থেকে বিএনপি নেতাকে ধরে নেয়া হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের পরিচয়ে। ঘটনার দুদিন পর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন বিএনপি নেতার স্ত্রী হাসিনা আহমেদ।
স্বামীকে ‘উদ্ধার’ করতে চেষ্টা চালানোর অনুরোধ জানিয়ে গত ১৯ মার্চ ও ৭ এপ্রিল দুই দফায় প্রধানমন্ত্রীর বরাবরে স্মারকলিপি দেন হাসিনা আহমেদ। উচ্চ আদালতে একটি রিট আবেদনও করেন তিনি। আদালতকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, পুলিশ ও র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সালাহউদ্দিন আহমেদকে আটক করেনি। তার কোনও খোঁজও পায়নি তারা। তবে সালাহ উদ্দিনের সন্ধানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর আছে বলেও আদালত ও স্বজনদের জানানো হয়।
এদিকে সালাহউদ্দিন আহমেদের স্ত্রী হাসিনা আহমেদের সঙ্গে দেখা করে এসে বিশিষ্ট আইনজীবী রফিক উল হল গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, নিখোঁজ হওয়ার পর তার সঙ্গে স্ত্রীর দুই দফা কথা হয়েছে মোবাইল ফোনে। এ থেকে তিনি ধারণা করছেন সালাহউদ্দিন আহমেদ বেঁচে আছেন। যদিও হাসিনা আহমেদ দাবি করেছেন, স্বামীর সঙ্গে ফোনে কথা বলার বিষয়ে রফিক উল হককে তিনি কিছু বলেননি।