ঝালকাঠি: সহপাঠীকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা ও উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় মারধরের শিকার হয়েছেন রাজাপুর টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজের কয়েক এইচএসসি পরীক্ষার্থী।
মঙ্গলবার (১২ মে) দুপুরে ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার উত্তমপুর বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতদের মধ্যে শাহাদাত হোসেন, রিমন সিকদার, বেল্লাল হোসেন, সৌরভ, মহিবুল্লাহ, সাব্বির, বাপ্পি, শহিদুল, জাকির, সাইফুল ইসলাম ও আসলাম হোসেনের নাম জানা গেছে।
আহত শিক্ষার্থীরা জানান, সকালে বন্ধুরা মিলে টেম্পুযোগে বড়ইয়া ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে যাচ্ছিলেন তারা। পথে উত্তমপুর এলাকায় চলন্ত টেম্পুতে থাকা কয়েক ছাত্রীকে চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে শ্লীলতাহানি ও উক্ত্যক্ত করে স্থানীয় বখাটে সুপক।
এ সময় টেম্পুতে থাকা সহপাঠীরা গাড়ি থামিয়ে এর প্রতিবাদ করে ও সুপককে চর-থাপ্পড় দেয়।
এদিকে, সুপক ও ভাতকাঠি গ্রামের আলতাফ হোসেনের ছেলে মিজানের নেতৃত্বে মোটরসাইকলেযোগে ১০/১২ জন পরীক্ষা চলাকালীন কেন্দ্রে প্রবেশ করতে চায়। এ সময় কেন্দ্রে দায়িত্বরতরা বিষয়টি শুনে সুপককে চর-থাপ্পড়কারী পরীক্ষার্থীকে কয়েকটি থাপ্পড় দিয়ে বিষয়টি মিটমাট করে দেন।
কিন্তু দুপুরে পরীক্ষা শেষে টেম্পু করে ওই পরীক্ষার্থীরা ফেরার পথে উত্তমপুর বাজার এলাকায় লাঠিসোটা, রড দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মিজান ও সুপকের নেতৃত্বে ২৫/৩০ জন টেম্পুর গতিরোধ করে। এ সময় কয়েক পরীক্ষার্থীকে বেদম মারধর করে পালিয়ে যায় তারা। এতে অন্তত ১৫ জন আহত হয়।
পরে এ ঘটনার বিচার দাবিতে পরীক্ষার্থীরা উপজেলা নির্বার্হী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে গেলে তিনি ব্যবস্থার গ্রহণের আশ্বাস দিয়ে তাদের থানায় যেতে বলেন।
রাজাপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ইউনুচ আলী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বাংলানিউজকে জানান, পরীক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সুত্রঃ বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম