ঢাকা: চতুর্থ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের সংরক্ষিত আসনে ভোটগ্রহণের দিন ধার্য করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ১৫ জুন এ ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। মঙ্গলবার (১২ মে) রাতেই এ সংশ্লিষ্ট প্রজ্ঞাপন জারির হচ্ছে।
মঙ্গলবার বিকেলে ইসির উপ-সচিব শামসুল আলম বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আমারা সংরক্ষিত আসনের নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করেছি। কমিশন রোজার আগেই এ নির্বাচন আয়োজনের সিদ্ধান্ত দিয়েছে।
তিনি জানান, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের সংরক্ষিত আসনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ১৫ জুন। চলতি মাসের (মে মাস) ২১ তারিখ মনোনয়নপত্র দাখিল। যাচাই ২৩ মে এবং প্রত্যাহারের শেষ দিন ৩০ মে।
২০১৪ সালে দেশের ৪৮৩ উপজেলায় সাত ধাপে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ভোটগ্রহণ করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইতোমধ্যে সে সব উপজেলার কার্যক্রমও শুরু হয়েছে। কিন্তু বিধিমালা প্রস্তুত না থাকা, সীমানা নির্ধারণ ও সংরক্ষিত আসনের সংখ্যা নির্ধারণ না হওয়ায়, সংরক্ষিত নারী আসনে নির্বাচন করতে পারেনি ইসি। সর্বশেষ গত ডিসেম্বরে (২০১৪ সালের) সব প্রস্তুতি শেষ করার পর মনোনয়ন ফরম সংক্রান্ত আইনি জটিলতায় আবারও থমকে যায় এ নির্বাচন প্রক্রিয়া। এরমধ্যে চলে আসে তিন সিটি নির্বাচন। সব ঝামেলা মিটিয়ে এবং বিধিমালা সংশোধনের পর এবার আটঘাট বেঁধে নামে ইসি।
ইতোমধ্যে প্রতিটি উপজেলায় সংরক্ষিত নারী আসনের সীমানা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া কোন উপজেলায়, কত জন সংরক্ষিত নারী সদস্য থাকবেন সে সংখ্যা নির্ধারণের কাজও শেষ। প্রস্তুত করা হয়েছে সম্ভাব্য ভোটার তালিকা।
নির্বাচন বিধিমালা অনুযায়ী, সংশ্লিষ্ট উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদ এবং পৌরসভার সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলররা তাদের মধ্য থেকে একজনকে ভোট দিয়ে উপজেলা পরিষদের সংরক্ষিত নারী সদস্য হিসেবে নির্বাচিত করবেন। আর এ সদস্যদের সংখ্যা হবে সংশ্লিষ্ট উপজেলার ইউনিয়ন ও পৌরসভাগুলোর মোট নারী সদস্যের এক তৃতীয়াংশের সমান।
সে হিসেবে দেশের ৪৮৩ উপজেলায় মোট সংরক্ষিত নারী আসন সংখ্যা ১ হাজার ৫৭৭টি। এতে ভোটার ১৪ হাজার ১২ জন।
বর্তমানে দেশে উপজেলা পরিষদ ৪৮৭টি। উপজেলা পরিষদ গঠনের পর এ পর্যন্ত চারটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মেয়াদ পূর্ণ করেছে তিনটি নির্বাচিত পরিষদ। কিন্তু কোনো নির্বাচিত পরিষদই সংরক্ষিত নারী সদস্য পায়নি। সংরক্ষিত আসনে এবার নির্বাচন হলে স্থানীয় এ সরকার ব্যবস্থাটি পূর্ণাঙ্গ রূপ পাবে।