আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সৃষ্টির আদি লগ্ন হতে এমন তীব্র ভূমিকম্পের নাম-ই হয়ত কেউ আগে শোনেনী। কিন্তু হ্যা এমনই একটি তীব্র মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানতে যাচ্ছে বলে সতর্কবার্তা দিয়ে দিল মার্কিন জিওলজিক্যাল সার্ভে। আর ঠিক যদি তাই হয় তাহলে চুরমার হয়ে সব সৃষ্টি এত কোনো সন্দেহ নেই। সতর্কবার্তা দিয়ে দিল মার্কিন জিওলজিক্যাল সার্ভে বলছে নেপালের ভয়াবহ ভূমিকম্প-সহ এই কয়েকদিন যা কম্পন আমরা অনুভব করেছি, তার অন্তত ৩২ গুণ শক্তিশালী একটি ভূমিকম্প হতে যাচ্ছে অদূর ভবিষ্যতেই।
আর ধারণা করা হচ্ছে যদি ৩২ গুণ ভুমিকম্প হয় তাহলে নেপালে হওয়া ভূমিকম্পের রিখটার স্কেলে পাওয়া মাত্রার মত ৩২টি কম্পন মিলিয়ে যে মাত্রা দাঁড়ায় সেই রকম একটি ভূমিকম্প হবে খুব শিঘ্রই। ইতোমধ্যে বিশ্বের ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চলগুলির একটি মানচিত্র তৈরি করেছে মার্কিন জিওলজিক্যাল সার্ভে।আর ঐ শক্তিশালী ভূমিকম্পের তীব্রতায় নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়া অঞ্চলগুলির মধ্যে রয়েছে ভারতভূমিও। মার্কিন জিওলজিক্যাল সার্ভের রিপোর্ট আরো বলছে, প্রবল ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকাগুলির মধ্যে রয়েছে নেপাল, ভারত-সহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিস্তীর্ণ অংশ।
এছাড়াও মার্কিন জিওলজিক্যাল সার্ভের সবচেয়ে অবাক কার তথ্য হচ্ছে,নেপালে খুব শিঘ্রই আবারো ভূমিকম্প হতে পারে। ফেব্রুয়ারিতেই সতর্ক করেছিল মার্কিন জিওলজিক্যাল সার্ভে। কিন্তু নেপাল সরকার বিষয়টিকে একদমই পাত্তা দেয়নি।কিন্তু অবশেষে ঠিক সে কথাই সত্যি হলো। রিপোর্ট বলছে, গত ২০৫ বছরের ইতিহাসে কাঠমান্ডুতে এটাই পঞ্চম শক্তিশালী ভূমিকম্প। অন্যদিকে ভারতের ন্যাশনাল জিওফিজিক্যাল রিসার্চ ইন্সস্টিটিউট-এর প্রাক্তন ডিরেক্টর হর্ষ কে গুপ্তার কথায়, ‘ ২৭ এপ্রিল নেপালের ভূমিকম্প কিছুই নয়। আমরা জানি খুব শিঘ্রই এমন কম্পন আবারো হতে যাচ্ছে, যার তীব্রতায় ধ্বংস হয়ে যেতে পারে বিশ্বের একটা অংশ।’
তবে এখন প্রশ্ন একটাই মার্কিন জিওলজিক্যাল সার্ভের এই ভবিষ্যত বাণী যদি সত্যি হয় তাহলে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে পৃথিবীর বিরাট একটি অংশ।