ঢাকা: দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটি সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ আটক নেতাকর্মীদের দ্রুত মুক্তির দাবি জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ দাবি জানান।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বশত জাতীয় পর্যায়ের বিশিষ্ট রাজনীতিকদের দীর্ঘদিন ধরে কারাগারে আটক রাখা হয়েছে। বিরোধীদলকে দমনের হীন উদ্দেশ্যে বিভিন্ন মিথ্যা ফৌজদারী মামলা এবং সরকারের আজ্ঞাবহ দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়ের করা সাজানো মামলায় বিনা বিচারে দীর্ঘদিন ধরে বন্দী হয়ে আছেন। উদ্দেশ্যমূলকভাবে দফায় দফায় রিমান্ডে নিয়ে এ রাজনৈতিক বন্দীদের অনেকের ওপর দৈহিক ও মানসিক নির্যাতন চালানো হয়েছে। যাদের মধ্যে অনেকে বয়সে প্রবীণ এবং নানার রোগে আক্রান্ত। কারাগারে সুচিকিৎসার অভাবে তারা অনেকেই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।’
খালেদা জিয়া বলেন, ‘উচ্চ আদালতের নির্দেশনা উপেক্ষা করে বিএনপি নেতা নাসিরউদ্দিন পিন্টুকে রাজশাহী কারাগারে স্থানান্তরের পর সম্প্রতি তিনি নিষ্ঠুর অবহেলায় মৃত্যুবরণ করেন। গুরুতর অসুস্থ মির্জা আলমগীরকে তেমন কোনো চিকিৎসা না দিয়েই কারাগারে ফেরত পাঠানো হয়েছে। খন্দকার মোশাররফ অজ্ঞান হয়ে বাথরুমে পড়ে যাবার পরেও তার তেমন কোনো চিকিৎসা হচ্ছে না। এসব ঘটনা তাদের পরিবারের সদস্যরা এবং আমাদের জন্য গভীর উদ্বেগের কারণ।’
দেশে বর্তমানে আইনের প্রয়োগ, তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়াকে ক্ষমতাসীনদের ইচ্ছের বাহনে পরিণত করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সুষ্ঠুভাবে দায়িত্ব পালনের কোনো সুযোগ রাখা হয়নি। দেশে আইনের শাসন ও সুবিচারের সুযোগ থাকলে এসব ঘটনা ঘটতে পারতো না। কেউ সরকারের প্রতিহিংসার শিকার হলে তার প্রতিকারের ব্যবস্থা থাকতো। কিন্তু সেসব ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়ে আইনগতভাবে মোকাবিলার পথ খুবই সঙ্কুচিত করে ফেলা হয়েছে।’
এ পরিস্থিতিতে বিএনপিসহ বিরোধী দলমতের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে তাদের মুক্তি দেয়া, বিশেষ করে অসুস্থ সিনিয়র নেতাদের মুক্তি ত্বরান্বিত করার দাবি জানিয়েছেন বেগম খালেদা জিয়া।