ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপের কাছে সাগরে নৌযানে ভাসতে থাকা ৭৯৪ অভিবাসীকে উদ্ধার করে তীরে নিয়ে এসেছে দেশটির জেলেরা। নৌযানটি ডুবে যাচ্ছিলো বলে জানা গেছে। এদের মধ্যে ৭০০ বাংলাদেশি ও ৯৪ জন রোহিঙ্গা রয়েছে বলে দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। এসব অভিবাসীদের মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া তীরে ভেরার অনুমতি না দেয়ায় সাগরে ভাসছিলো। খবর নিউইয়র্ক টাইমস, বিবিসি বাংলা, রয়টার্স।
ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশের লাংশা শহরের কর্মকর্তা খায়রুল নোভা টেলিফোনে বার্তা সংস্থা রয়টর্সকে জানান, শুক্রবার ভোর ৫টার দিকে জেলেরা সাগরের মাঝে নৌযানে ভাসতে থাকা ৭৯৪ অভিবাসীকে দেখতে পায়। জেলেরা তাদের উদ্ধার করে তীরে নিয়ে আসে। তাদেরকে বন্দরের একটি গুদাম ঘরে রাখা হয়েছে।
বিবিসি বাংলার খবরে বলা হয়, ইন্দোনেশিয়া থেকে পাওয়া খবরে জানা গেছে, সাগরে নৌকা ডুবির পর ছয়শর বেশি অভিবাসীকে উদ্ধার করে দেশটির আচেহ প্রদেশে নিয়ে আসা হয়েছে। তবে এর আগে আরেকটি নৌকা দেশটি থেকে ফিরিয় দেয়া হয়েছে। এরা হচ্ছে রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশি সেই সব অভিবাসী যাদেরকে মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া তীরে ভেরার অনুমতি দেয়নি।
এর আগে গত রোববার ইন্দোনেশিয়ার আচেহ উপকূলে ম্যানতাং পুনতংগামী দুটি নৌকা থেকে ৬০০ রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করে স্থানীয় কোস্টগার্ড ও পুলিশ।
এদিকে থাইল্যান্ডের সমুদ্রসীমায় এ ধরনের একটি নৌ যান বিবিসি সংবাদদাতা পরিদর্শন করেছেন। তীরে ভিড়তে না পেড়ে সেটিও সমুদ্রে ভাসছিলো। নৌ-যানে থাকা বেশ কয়েকজন মানুষ তীব্র খাদ্য ও পানীয় সংকটে রয়েছে।