কী দোষ ছিল অনিকার?

0

Anikaজামালপুর: দেখতে ফুটফুটে, নিষ্পাপ চাহনি। দশম শ্রেণীর ছাত্রী। বয়স ১৪ পেরিয়েছে। ডাক নাম অনিকা। মাদরাসার খাতায় লেখা হয় রাবিয়া খাতুন। ফুলের মতো নিষ্পাপ এ কিশোরীর নিথর দেহ পড়ে আছে ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ে। ওড়না দিয়ে হাত বাঁধা। বাঁধা ছিল ‍দু’পাও।

শনিবার বিকেলে শত শত গ্রামবাসী জড়ো হয় নদীতীরে। আসে পুলিশও। লাশের সুরতহাল তৈরি করে।

পুলিশ জানায়, অনিকাকে হত্যা করার আগে হাত-পা বেঁধে ধর্ষণ করা হয়। এরপর নদীতে ফেলে রেখে চলে যায় হত্যাকারীরা।

স্থানীয়রা জানায়, অনিকা জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার ঝালরচর গ্রামের আব্দুল লতিফের মেয়ে। তবে সে পাশের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার মাদারচর গ্রামে নানার বাড়ি থেকে পড়াশুনা করত। পড়তো মাদারচর এজিআই দাখিল মাদরাসায় দশম শ্রেণীতে।

প্রতিবেশীরা জানায়, পাশের বাড়ির আহম্মদ আলীর ছেলে আব্দুল আজিজের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল অনিকার। শুক্রবার রাতে অনিকাকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ডেকে কৌশলে ব্রহ্মপুত্রের তীরে নিয়ে যায় আজিজ। এরপর তার সহযোগীকে নিয়ে হাত পা বেঁধে গণধর্ষণ করে। শেষে নদীর পানিতে ছুঁড়ে ফেলে দেয়।

অনিকার নানার বাড়ির লোকজন জানায়, রাত থেকেই অনিকাকে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। কিন্তু কোথাও পাওয়া যাচ্ছিল না। দুপুরের দিকে অনিকার লাশ ভেসে ওঠে ব্রহ্মপুত্র নদীতে। খবর পেয়ে বিকেলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে। ঘটনার পর থেকেই আজিজ ও পরিবারের লোকজন উধাও।

অনিকার নানাবাড়িতে কান্নার রোল উঠেছে। শোকের ছায়ায় ঢেকে গেছে পুরো মাদারচর গ্রাম। হাউ মাউ করে কাঁদছে কেউ কেউ। সবার প্রশ্ন- কী এমন দোষ ছিল অনিকার? যার জন্য এত বড় শাস্তি তাকে দেয়া হলো?

দেওয়ানগঞ্জ থানার পরিদর্শক (ওসি, তদন্ত) সাদিকুর রহমান ঘটনা নিশ্চিত করে জানান, ‘ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More