চাঁপাইনবাবগঞ্জ: একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মাহিদুর রহমান ও আফসার হোসেনের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণার পর শিবগঞ্জে বিক্ষোভ করেছে এলাকাবাসী।
বুধবার দুপুরে দুই রাজাকারের ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ করেছে শিবগঞ্জের বিনোদপুরে শহীদ পরিবারের সদস্যরা। তবে বিক্ষোভ শেষে তারা শুকরিয়া আদায় করে মিষ্টি বিতরণ করে।
এর আগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় মাহিদুর রহমান ও আফসার হোসেনের বিরুদ্ধে রায় আমৃত্যু কারাদণ্ডের রায় প্রদান করেন।
তারও আগে রায় শোনার জন্য শিবগঞ্জের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবার ও মুক্তিযোদ্ধাসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা শিবগঞ্জ উপজেলার মনাকষা ও বিনোদপুর বাজারে সমবেত হয়। রায় ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে তারা বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। তারা দুই রাজাকারের ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করে।
মামলার বাদী শিবগঞ্জ উপজেলার মনাকষা ইউনিয়নের পারচৌকা গ্রামের বদিউর রহমান বুদ্ধু ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করে জানান, একাত্তরের ৬ ও ৭ অক্টোবর আফসার হোসেন চুটু ও মাহিদুর রহমানের নেতৃত্বে রাজাকাররা তার বাবাসহ ৩৯ জনকে বিনোদপুর উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন মাঠে নৃশংসভাবে হত্যা করে লাশ মাটিতে পুঁতে রাখে।
মামলার সাক্ষী বীর মুক্তিযোদ্ধা মহসিন আলী হতাশা প্রকাশ করে বলেন, ‘আমাদের প্রত্যাশা ছিল এ রায়ে তাদের ফাঁসি হবে।’
বিনোদপুরের শহীদ ফজলুর রহমানের ছেলে শফিকুল ইসলাম জানান, ‘এ রায়ের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা প্রিয় শিবগঞ্জবাসীর মনের আশা পূরণ হয়নি।
শিবগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বজলুর রশিদ সনু জানান, ১৯৭১ সালে আফসার হোসেন চুটু ও মাহিদুর রহমান রাজাকারদের সংগঠিত করে এলাকায় হত্যাযজ্ঞ চালায়। নারী ধর্ষণসহ ঘর-বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। এজন্য তিনি মানবতাবিরোধী অপরাধে আফসার হোসেন চুটু ও মাহিদুর রহমানের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড আশা করেছিলেন।
বিনোদপুর ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ রুহুল আমিন বলেন, এ রায়ে আমরা সন্তুষ্ট হইনি। এ দুই প্রখ্যাত রাজাকারের ফাঁসীর রায় হলে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মা শান্তি পেত।