বার কাউন্সিল নির্বাচন তিন মাসের জন্য স্থগিত

0

bar-council_267094আইনজীবীদের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের নির্বাচন তিন মাসের জন্য স্থগিত করেছে হাইকোর্ট। ভোটার তালিকা নিয়ে আপত্তি ওঠায় এ নির্দেশ দেন আদালত। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের প্রতি রুলও জারি করা হয়েছে।

 বৃহস্পতিবার দুটি রিট আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি কাজী রেজাউল হক ও আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের বেঞ্চ এই আদেশ দেয়।
 সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী  ইউনুস আলী আকন্দ রিট দুটি করেন। আবেদনে একটি রুলও জারি করেছে আদালত।
 রিট আবেদনে ইউনুস আলী অভিযোগ করেন, নির্বাচনের ৩০ দিন আগে পূর্ণাঙ্গ ভোটার তালিকা প্রকাশের নিয়ম থাকলেও তা করা হয়নি। এদিকে নির্বাচন স্থগিত করে হাইকোর্টের দেয়া নির্দেশ স্থগিত চেয়ে করা আবেদন পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চে পাঠিয়েছেন চেম্বার বিচারপতি। রোববার এ বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
 আগামী ২৭ মে বার কাউন্সিল নির্বাচনের ভোট হওয়ার কথা ছিল। এর আগে ভোটের জন্য প্রথমে ২০ মে দিন রাখা হলেও ভোটার তালিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় তা পিছিয়ে দেয়া হয়।
 গত ২৫ মার্চ এ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর ৯ এপ্রিল ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়, যাতে কাউন্সিলের ভোটার সংখ্যা দেখানো হয় ৪৮ হাজার ৪৬৫ জন।
 তবে এ তালিকায় ‘অস্পষ্টতা ও একই নাম একাধিকবার’ থাকার কথা জানিয়ে নির্বাচিত পাঁচ সদস্য এবং ১০১ জন আইনজীবী গত ২৯ এপ্রিল আলাদাভাবে কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ও সচিবকে চিঠি দেয়।
 এতে অভিযোগ আসে, আইনজীবীদের নিয়ন্ত্রক সংস্থা হলেও কাউন্সিল নিজস্ব নথিপত্রের সাহায্য না নিয়ে আইনজীবী সমিতিগুলোর পাঠানো সদস্য তালিকা ধরেই ভোটার তালিকা তৈরি করেছে।
 প্রসঙ্গত, বার কাউন্সিল নির্বাচনে মোট ১৪ জন সদস্য নির্বাচিত হন। এর মধ্যে সারা দেশে সনদপ্রাপ্ত আইনজীবীদের ভোটে সাধারণ আসনে সাতজন এবং দেশের সাতটি অঞ্চলের স্থানীয় আইনজীবী সমিতির সদস্যদের মধ্য থেকে একজন করে আরও সাতজন নির্বাচিত হয়ে আসেন।
 এই ১৪ জন সদস্যের ভোটে নির্বাচিত হন বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান। আর অ্যাটর্নি জেনারেল রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা হিসাবে পদাধিকার বলে কাউন্সিলের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন।
Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More