লন্ডন: রোববার ভারতের বিপক্ষে জোহানেসবার্গ টেস্টটি জিততে জিততেও জিততে পারলো না দক্ষিণ আফিকা। সেক্ষেত্রে সিরিজের প্রথম এই টেস্টটিতে যদি গ্রায়েম স্মিথ বাহিনী জয় ছিনিয়ে নিতে পারত তাহলে হয়তো টেস্ট ক্রিকেটের সেরা জয় হত ‘ব্যাটল অব জোহানেসবার্গ’ই। আসুন ক্রিকেটের সেরা দশটি কামব্যাক এক নজরে দেখে নেই-
১. দক্ষিণ আফ্রিকা বনাম অস্ট্রেলিয়া
জোহানেসবার্গ: মার্চ, ২০০৬
একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে দুই দলই ৪০০-এর ওপরে রান তোলে। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার হার্শেল গিবস ১৭৫ রানের অবিশ্বাস্য এক ইনিংস খেলে দলকে তিন বল বাকি থাকতে কাব্যিক এক জয় উপহার দেন।
২. ইংল্যান্ড বনাম অস্ট্রেলিয়া
লিডস: জুলাই, ১৯৮১
ফলোঅন করেও ইংল্যান্ড অস্ট্রেলিয়াকে হারায়। ইয়ান বোথামের ব্যাটে ১৪৯ ও উইলিসের আট উইকেটের জন্য দুর্দান্ত এক জয় পায় ইংলিশরা।
৩. ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া
কলকাতা: মার্চ ২০০১
ফলোঅন করেও ভারত ভিভিএস লক্ষ্মণ ও রাহুল দ্রাবিড়ের সৌজন্যে অস্ট্রেলিয়াকে অবিশ্বাস্যভাবে হারিয়ে দেয়।
৪. ভারত বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ
ত্রিনিদাদ: এপ্রিল, ১৯৭৬
১৯৪৮ সালে অস্ট্রেলিয়ার গড়া ৪০৪/৩ ছিল চতুর্থ ইনিংসে সেরা স্কোর। ভারত সেই রেকর্ড ভেঙে ৪০৩ রান তাড়া করে জেতে। সুনীল গাভাস্কার ও বিশ্বনাথের ব্যাটিংয়ে ভর করে।
৫. নিউজিল্যান্ড বনাম অস্ট্রেলিয়া
ইডেন পার্ক: ফেব্রুয়ারি, ২০০৭
চতুর্থ ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার ছুঁড়ে দেয়া ৩৩৭ রান তাড়া করে ম্যাচ জেতে নিউজিল্যান্ড।
৬. জিম্বাবুয়ে বনাম ভারত
ওয়েলস: জুন, ১৯৮৩
১৭ রানে পাঁচ উইকেট হারানোর পরও ভারত ম্যাচ জিতে নেয়। যেই ম্যাচে কপিল দেবের ১৭৫ রানের পর ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোর ছিল ২৪।
৭. নিউজিল্যান্ড বনাম ইংল্যান্ড
ওয়েলিংটন: ফেব্রুয়ারি, ১৯৭৮
অবিস্মরণীয় সেই টেস্টে নিউজিল্যান্ড মাত্র ১৩৭ রানের লিড নিয়েও ম্যাচ জেতে। দলটির কিংবদন্তি খেলোয়াড় রিচার্ড হ্যাডলি ইংল্যান্ডকে মাত্র ৬৪ রানেই গুটিয়ে দেন।
৮. অস্ট্রেলিয়া বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ
সিডনি: জানুয়ারি ১৯৯৬
ওয়েস্ট ইন্ডিজের ১৭২ রান তাড়া করে অস্ট্রেলিয়া একটা সময় ৩৮ রানেই ছয় উইকেট হারিয়ে ফেলে। সেখান থেকে মাইকেল বেভান একাই সেই ওয়ানডে ম্যাচটি জিতিয়ে দেন অসিদের।
৯. নিউজিল্যান্ড বনাম পাকিস্তান
ইডেন পার্ক: মার্চ, ১৯৯২
বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের গড়া সাত উইকেটে ২৬২ রান তাড়া করে পাকিস্তান এক পর্যায়ে ম্যাচ থেকে প্রায় ছিটকেই পড়েছিল। কিন্তু সেই অবস্থা থেকে ইনজামাম-উল-হক একাই ম্যাচ বের করে নেন।
১০. হ্যাম্পাশায়ার বনাম ওয়ারউইকশায়ার
এজবাস্টন: জুন, ১৯২২
ওয়ারউইকশায়ার প্রথম দিন ২২৩ রান করে। এরপর হ্যাম্পাশায়ারকে মাত্র ৪০ মিনিটে ১৫ রানেই অলআউট করে দেয়। যেই ম্যাচটিতে আটজন ব্যাটসম্যান ডাক মারেন। ফলোঅন করে হ্যাম্পাশায়ার ৫২১ রান করে। জবাবে ওয়ারউইকশায়ার ১৫৮ রানে অলআউট হয়। ম্যাচ জেতে হ্যাম্পাশায়ার।
Next Post