রোহিঙ্গাদের নাগরিক বিবেচনা করার দাবি যুক্তরাষ্ট্রের

0

Rohingaঢাকা: দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার অভিবাসন সঙ্কটের মূলে রয়েছে রোহিঙ্গারা। তাই এই সঙ্কটের সমাধান করতে চাইলে মিয়ানমার সরকারকে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিমদের সে দেশের হিসেবে নাগরিক হিসেবে বিবেচনা করতে হবে। বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান রিচার্ড এই মন্তব্য করেছেন।

জাকার্তায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন,‘রোহিঙ্গাদের বার্মার(মিয়ানমার) নাগরিক হিসেবে মেনে নেয়া প্রয়োজন। তাদেরকে এটি দেখানোর জন্য কাগজপত্র দিতে হবে।’ এছাড়া মিয়ানমারের উদ্ধারকৃত ৭২৭ অভিবাসনপ্রত্যাশীকে তার দেশে ঠাঁই দেবে বলেও আশা প্রকাশ করেছেন মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

সম্প্রতি আন্দামান সাগর থেকে ওই ৭২৭ জনকে উদ্ধার করেছিল মিয়ানমার নৌবাহিনী। মঙ্গলবার তাদের বাংলাদেশের জলসীমায় ঠেলে দেয়ার প্রস্তুতি নিয়েছিল দেশটি। পরে তারা তাদের সে পরিকল্পনা স্থগিত করে।

এর আগে গত সোমবার হোয়াইট হাউসে আমন্ত্রিত এশীয় তরুণদের সঙ্গে কথা বলার সময় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাও মিয়ানমারের রোহিঙ্গা বৈষম্য বন্ধ করা দরকার বলে মন্তব্য করেছেন।

মানব পাচারের শিকার হয়ে সাগরে ভাসমান রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসন নিশ্চিত করতে যুক্তরাষ্ট্র কাজ করছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

প্রসঙ্গত, রাখাইন রাজ্যের বাসিন্দা রোহিঙ্গাদের তাদের নাগরিক বলে স্বীকার করে না মিয়ানমার। সম্প্রতি প্রকাশিত আদমশুমারিতেও রোহিঙ্গাদের অর্ন্তভুক্ত করা হয়নি। মিয়ানমার সরকারের দাবি রোহিঙ্গারা বাংলাদেশি। তারা অবৈধভাবে মিয়ানমারের প্রবেশে করেছে। রাখাইন রাজ্যে চরমপন্থি বৌদ্ধ ভিক্ষুদের হামলা ও নির্যাতনের শিকার হয়ে ইতোমধ্যে বাস্তচ্যুত হয়েছে প্রায় দেড় লাখ রোহিঙ্গা।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More