চট্টগ্রাম বন্দরে আটক বহুল আলোচিত সান ফ্লাওয়ার তেলের নামে আমদানি করা ১০৭ ড্রাম তেলের একটিতে কোকেনের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের সংগৃহীত নমুনা ঢাকার একটি ল্যাবে পরীক্ষার পর কোকেনের অস্তিত্ব ধরা পড়ে। আর ল্যাব টেস্টে একটি ড্রামে কোকেনের অস্তিত্ব পাওয়া যাওয়ায় শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের আশংকা ও গোপন তথ্যই সত্য প্রমাণিত হয়েছে ।
এ ব্যাপারে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের মহাপরিচালক মঈনুল খান যুগান্তরকে বলেন, আটক ১০৭ ব্যারেল বা ড্রামের মধ্যে ৯৬ নম্বর ব্যারেলে ল্যাব টেস্টে কোকেনের অস্তিত্ব মিলেছে। তিনি জানান, ওই ড্রামে ১৯৬ কেজি তরল পদার্থ রয়েছে। এর সঙ্গে বিভিন্ন পদার্থ মিশ্রিত থাকায় ঠিক কী পরিমান তেল বা কী পরিমাণ কোকেন রয়েছে তা এখনো নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। তবে আনুমানিক ৫০/৬০ কেজি কোকেন থাকতে পারে বলে ধারণা করছেন তিনি। কোকেনের সঠিক পরিমাণ নিরূপণ করতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে জাতিসংঘের অধিভুক্ত আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি সংস্থার (ইউএন- ডিসি) বিশেষজ্ঞদের সহায়তা নেয়া হবে বলে জানান তিনি। একই সঙ্গে বন্দর থেকে কোকেনের অস্তিত্ব যে ড্রামে মিলেছে সেই ’৯৬ নম্বর নম্বর ড্রাম বা ব্যারেলটি যাতে কেউ সরাতে না পারে সে জন্য বন্দরসহ স্থানীয় প্রশাসনকে চিঠি দেয়া হবে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।