সুষমা স্বরাজ, বসুন্ধরা রাজে এবং কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি ও মহারাষ্ট্রের মহিলা ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী তথা প্রয়াত বিজেপি নেতা গোপীনাথ মু-ের মেয়ে পঙ্কজা মু-েÑ এই চারজনকে নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। নির্বাচন কমিশনে শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে ভুয়া তথ্য দেওয়ার অভিযোগে স্মৃতির বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলাটি শুনানির জন্য গ্রহণ করেছে আদালত। আর পঙ্কজার বিরুদ্ধে অভিযোগ, কোনো দরপত্র ছাড়া একই দিনে ২৪টি সংস্থাকে শিশুদের স্কুলের জন্য ২০৬ কোটি টাকার জিনিসপত্র কেনার দায়িত্ব দিয়েছিলেন তিনি। ললিত মোদিকে ব্র্রিটেনে অভিবাসন পাইয়ে দিতে বসুন্ধরা রাজের সই-সহ নথি প্রকাশ করবেন কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ। জয়রাম রমেশ বলে দিয়েছেন, তিন জনের ইস্তফার দাবি নিয়ে কংগ্রেস কোনো রকম আপস করবে না। এক এক করে সকলকে ইস্তফা দিতে হবে। একেবারে টিভি সিরিয়ালের মতো। বসুন্ধরার ইস্তফার দাবি থাকল পয়লা নম্বরে। দুনম্বরে থাকলেন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। তিন নম্বরে স্মৃতি ইরানি। আর পঙ্কজা? অভিযোগের ধার ও ভার বিচার করলে পঙ্কজার চেয়ে স্মৃতির চাপটা সামান্য হলেও বেশি। কারণ, কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীর বিরুদ্ধেই উঠেছে নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে উপর্যুপরি ভুল তথ্য দেওয়ার অভিযোগ। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হিসেবে স্মৃতি শপথ নেওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যেই তাকে ঘিরে বিতর্ক শুরু হয়। পরে আহমের খান নামে এক ব্যক্তি আদালতে অভিযোগ করেন, ২০০৪-এর রাজ্যসভা এবং ২০১৪-এর লোকসভা ভোটের সময়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে পরস্পরবিরোধী তথ্য পেশ করেছেন স্মৃতি। আহমেরের দাবি, ২০০৪-এর হলফনামায় স্মৃতি জানান, তিনি বিএ পাস। আবার লোকসভা ভোটের সময়ে হলফনামায় স্মৃতি লেখেন, তিনি বি-কম প্রথম বর্ষ পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন। আহমেরের এই মামলাটিই গ্রহণ করেছেন দিল্লির পাটিয়ালা হাউস কোর্টের মেট্রোপলিটান ম্যাজিস্ট্রেট আকাশ জৈন। আগামী ২৮ আগস্ট সমস্ত তথ্যপ্রমাণ তলব করেছেন তিনি। স্বাভাবিক ভাবে কংগ্রেস তো বটেই, আম আদমি পার্টিও স্মৃতির ইস্তফার দাবি তুলেছে। কদিন আগেই ভুয়া ডিগ্রির অভিযোগে আপের মন্ত্রী জিতেন্দ্র তোমরকে গ্রেফতার করে জেলে পাঠিয়েছে কেন্দ্রের অধীনে থাকা দিল্লি পুলিশ। গত বুধবার আপ নেতা আশুতোষের কটাক্ষ, আশা করছি, যে দ্রুততার সঙ্গে জিতেন্দ্র তোমরকে গ্রেফতার করা হয়েছে, সেই দ্রুততায় স্মৃতিকেও গ্রেফতার করা হবে। বা প্রধানমন্ত্রী বরখাস্ত করবেন। এদিকে, পঙ্কজার পাশে দাঁড়িয়েছেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডনবিস। বলেছেন, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, কোনো অনিয়ম হয়নি। দরকারে তদন্ত হবে। পঙ্কজাও তদন্তের মুখোমুখি হতে রাজি। ওয়েবসাইট।