বর্তমান সরকারের হাজার কোটি টাকার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ বাস্তবায়িত হলে ও অবহেলিত রয়ে গেছে ভোলা সদর উপজেলার জামিরালতা গ্রামের বেপারী বাড়ীর সড়কের কাঁচা রাস্তাটি। এই এলাকা আওয়ামীলীগের ভোটের দূর্গ হওয়ায় ২০০১ সালে ৪ দলীয় জোট সরকার ক্ষমতায় এলে ও তারা রাজনৈতিক বিরোধিতার কারণে এ রাস্তাটির উন্নায়ন বিষয় কোন পদক্ষেপ নেয়নি কিন্তু বর্তমান মহাজোট সরকারের পর পর দুই ট্রাম ক্ষমতায় থেকে ও তাদের জন প্রতিনিধিদের প্রতিশ্রুতি জামিরালতা বেপারী বাড়ীর রাস্তাটি পাকাকরনের কোন উদ্যোগ এখন ও গ্রহন করেননি।
স্থানীয়রা জানায়, প্রতিটি সরকারের নির্বাচনের সময় ভোট প্রার্থনা করতে এসে জন গুরুত্বপূর্ণ, ওই রাস্তাটি পাকা করনের আশ্বাস দেয়া হলে ও দল ক্ষমতায় আসার পরে স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ের কোন নেতা, চেয়ারম্যান-মেম্বার জন প্রতিনিধিদের নজরে পরছে না। এলাকার কিছু লোক ক্ষোভের সাথে বলেন যে কোন নির্বাচন এলে দেখা যায় জন প্রতিনিধিদের দৌড়-ঝাপ ও বিভিন্ন উন্নয়নের করে দেয়ার আশ্বাস প্রদান করেন। তাই অবিলম্বে এই রাস্তাটি পাঁকা না হলে আর কোন জন প্রতিনিধিদের ভোট দিবে না এলাকাবাসী তাই অতি তাড়াতাড়ী জন প্রতিনিধিদের রাস্তাটি পাঁকা করণের জন্য একান্ত দরকার। এ রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন স্কুল-কলেজর ছাত্র-ছাত্রী সহ কয়েক শত লোকজন চলাচল করছে।
এলাকার স্থানীয় দোকানদার জামাল, রফিক জানান, সড়কের বিভিন্ন স্থান ধসে ও রাস্তার মাঝে গর্তের সৃষ্টি হয়ে যানবাহন চলাচল সহ জনসাধারণ ও এলাকাবাসীর চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। কিছু দিন আগে জেলা পরিষদ থেকে প্রায় ২০০/২৫০ হাতের মতো একটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ইট বিছিয়ে দিয়ে কাজ শেষ করে। যা রাস্তার ৫ ভাগের এক ভাগ ও করেনি। তাই অবিলম্বে জনদূভোগের রাস্তাটি অতি তাড়াতাড়ি পাকা করনের জন্য সকল প্রতিষ্ঠানের প্রতি আহবান জানাচ্ছেন ঐ এলাকাবাসী। অন্যদিকে কর্মসৃজনের নামে রাস্তা-ঘাট উন্নয়নের জন্য সরকারী সহায়তায় ভোলা সদর উপজেলা সহ বিভিন্ন উপজেলায় কর্মসৃজন চালু থাকলে ও গত কয়েক বছরে কর্মসৃজনের কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় ভোলা সদর উপজেলার জামিরালতা গ্রামের কাঁচা রাস্তাটি ও কাহারো চোখে পড়েনি। এলাকাবাসী অভিযোগ, এই গ্রামের আশপাশের অনেক রাস্তা পাকা হয়ে গেছে, কিন্তু এ সড়কটি পাকা হয়নি আজোও। এতে করে এলাকার কয়েক হাজার মানুষ চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন এবং রাস্তাটি পাকা না হওয়ায় তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
তারা আরো বলেন, ভোলা বাপ্তা ইউনিয়নের চরনোয়াবাদ এলাকার প্রেম রোড হিসেবে খ্যাত ওই রোডটি বাপ্তা ইউনিয়নের ৩ কিলোমিটার রাস্তা হলে ও ভোলা পৌর সভা সেটিকে পাকা করে দেয়। কারণ সেখানে ভোলার নামী-দামী নেতারা বসবাস করছেন। তাই বাধ্য হয়ে পৌরসভা সেই রাস্তাটি পাকা করে দেয়। অথচ জামিরালতা রাস্তাটি কোয়াটার কিলোমিটার হলে ও তা নিয়ে পৌরসভা, জেলা পরিষদ, এলজিইডি সহ কোন বিভাগই মাথা গামাচ্ছে না। রাস্তাটি নিয়ে এলাকার বিভিন্ন পেশার মানুষের অভিমত ব্যক্ত করেছেন। তারা বলছেন, বাপ্তা ইউনিয়ন বলছে পৌর সভার রাস্তা আর পৌরসভা বলছে এগুলো বাপ্তা ইউনিয়ন, জেলা পরিষদ ও এলজিইডির আওতায়। এ রাস্তাটি নিয়ে বিভিন্ন বিভাগের রেশা-রেশীর কারণে স্বাধীনতার পর থেকে আলোর মুখ দেখেনি।
অভিযোগে আরো বলেন, বিভিন্ন সংস্থা লোক মাঝে মধ্যে এসে রাস্তাটিকে মাপ ঝোপ করতে দেখা যায়। এদিকে ওই এলাকার স্থানীয় ব্যক্তি জসিম পাটওয়ারী, জাকির পাটওয়ারী, আরিফুল ইসলাম, ইউসুভ, কবির, হোসেন সহ আরো অনেকে জানান, বর্ষা মৌসুম এলেই রাস্তাটিতে সামান্য বৃষ্টিতে পায়ে হাটা জায়না। কাঁদা ঢেঙে সদরে যাতায়াত করতে হচ্ছে। চাকুরীজীবি, স্কুল ও কলেজগামী শিক্ষার্থীদের পোহাতে হয় চরম দুর্ভোগ। কয়েকদিনের টানা বর্ষণে সড়কের বিভিন্নস্থানে পানি ও কাঁদায় একাকার হয়ে এখন ধান চাষের উপযোগী হয়েছে এবং আশ-পাশে বর্ষার পানি নিস্কাসরে জন্য নেই কোন ড্রেন।
তাই বর্ষা মৌসূমে এক রকম পানিবন্দী জীবন কাটাতে হয় গ্রামবাসীদের। তারা আরো বলেন, বর্ষা মৌসূম তাদের গ্রামের কেউ অসুস্থ্য হয়ে পরলে ও তাকে সদর হাসপাতালে নিতে গ্রামের লোকজনকে চরম ভোগান্তিতে পরতে হচ্ছে। ভোলা সদর থেকে ১/২ কিলোমিটার দুরত্ব হলেও রাস্তাঘাট, কালভাট, পানি নিস্কাশনের ড্রেন সহ বিভিন্ন ধরনে উন্নয়নের কোন ছোয়া লাগেনি।