ঢাকা: রাজধানীর শ্যামলীতে ফেমাস জেনারেল হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক ও বাংলাদেশ ব্লাড ব্যাংক নামে দু্ইটি প্রতিষ্ঠানকে দুই লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বুধবার দুপুরে র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিনের নেতৃত্বে এই অভিযান চালানো হয়।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার উপ-পরিচালক মেজর রুম্মান মাহমুদ বাংলামেইলকে জানান, ‘নিরাপদ রক্ত পরিসঞ্চালন আইন অনুযায়ী ব্লাড ব্যাংকগুলোতে রক্ত পরিসঞ্চালন বিশেষজ্ঞ, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চিকিৎসক, প্রযুক্তিবিদ, ল্যাব সহকারী, প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম, রক্ত সংগ্রহ, আধুনিক ও উন্নত রক্ত সংরক্ষণ থাকার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। ব্লাড ব্যাংক দুইটি এসব নিয়ম মানছে না। তাছাড়া র্যাবের অভিযানে বিপুল পরিমাণ অপরিক্ষিত রক্ত জব্দ করা হয়েছে।’
অভিযানের বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, ‘অধিক মুনাফার লোভে প্রতিষ্ঠান দুইটিতে পরীক্ষা নিরীক্ষা ছাড়াই মাদকাসক্ত ব্যক্তির রক্ত সংগ্রহ এবং স্যালাইন মিশিয়ে এক ব্যাগ রক্তকে দুই ব্যাগ বানিয়ে বিক্রি করছে।’
প্রতিষ্ঠান দুইটি সঠিক পদ্ধতিতে রক্ত সংরক্ষণ করছে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ব্লাড সংরক্ষণ করার জন্য ব্লাড প্রিজারভেশন রিফ্রেজারেটর ব্যবহার করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এমনকি সংগ্রহ করা রক্ত ২ ডিগ্রি থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার মধ্যে রাখারও বাধ্যবাধকতা আছে। অথচ প্রতিষ্ঠান দুইটি ঘরের কাজে ব্যবহৃত সাধারণ ফ্রিজ ব্যবহার করে রক্ত সংরক্ষণ করছে।’
জরিমানার বিষয়ে র্যাব কর্মকর্তা রুম্মান মাহমুদ বলেন, ‘অপরাধ বিবেচনায় নিরাপদ রক্ত পরিসঞ্চালন আইন-২০০২ এর ২০ ধারা অনুযায়ী ফেমাস জেনারেল হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিককে ৬০ হাজার টাকা এবং একই আইনের ২০/২৩/২৪ ধারায় বাংলাদেশ ব্লাড ব্যাংককে এক লাখ ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।’