বরগুনার তালতলী উপজেলার সোনাকাটা ইউনিয়নের নিদ্রারচর গ্রামের হতদরিদ্র নারী নীলুফা বেগম (৪২)। সিডর আইলা আর মহাসেনসহ ছোট বড় শত দুর্যোগের হানায় ঘরবাড়ি সহায়সম্পদ হারিয়ে দরিদ্র থেকে হত দরিদ্র হয়েছেন তাও অনেক আগে।
কোনদিন আধাবেলা কোনদিন না খেয়েই জীবন চলে নীলুফার। হত দরিদ্রেরও সীমানা ছাড়িয়ে নীলুফা এখন নিঃস্ব। পক্ষাঘাতগ্রস্থ অসুস্থ স্বামী আর ছোট ছোট ছেলে মেয়েসহ ছয় সদস্যের পুরো পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী তিনি।
নীলুফার মত তালতলীর সোনাকাটা ও নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের ইদুপাড়া, নিদ্রারচর এবংতেতুলবাড়িয়া গ্রামের গোলবানু (৪৫), লাকী (২১), হেলেনা (২৭), শিউলী (৪২), মিনারা (৩৫), শিরীন (৩০), কহিনুর (৪৩) এবং শিরীন বেগমেরও (২৭) একই অবস্থা।
একদিকে নুন আন্তে পান্তা ফুরোনোর সংসার অন্যদিকে ঘনঘন দুর্যোগের হানা। নিষ্ঠুর দারিদ্র আর নির্মম দুর্যোগের কবলে আটকে থাকা বরগুনার তালতলী উপজেলার এসব দরিদ্র নারীর জীবন মান উন্নয়নে বুধবার সকালে ১০টি গাভী বিতরণ করেছে জেলা মহিলা অধিদপ্তর।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধিনে সিডিএমপির সহযোগিতায় এড্রিসিং জেন্ডার এন্ড ডিজাস্টার রিক্স রিডাকশন ইন্টারফেস (ডিডাব্লিউএ) প্রকল্পের অধিনে এ সহযোগিতা দেয়া হয়। যথাযথ প্রশিক্ষণ এবং নিবিড় পর্যবেক্ষনের মধ্য দিয়ে এসব হত দরিদ্র পরিবারকে দারিদ্রসীমার উপরে উঠিয়ে আনতে এ প্রকল্পের স্থানীয় সহযোগী সংস্থা হিসেবে কাজ করছে ডোক্যাপ।
গাভী বিতরণ উপলক্ষে বুধবার সকালে তালতলী উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মেহেরুননাহার মুন্নি, তালতলী উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা জেসমিন আক্তার, উন্নয়ন সংগঠন ডোক্যাপ-এর নির্বাহী পরিচালক মাসুদ আলমসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।