আন্দোলনের শেষ ধাপে পা রাখতে যাচ্ছে ১৮ দলীয় জোট, ৫ জানুয়ারির আগেই টানা অবরোধের ঘোষণা চূড়ান্ত করেছেন জোটের শীর্ষ নেতাার। ২ বা ৩ জানুয়ারি থেকে অসহযোগ কর্মসূচি ঘোষণার প্রাথমিক রূপরেখাও ঠিক করা হয়েছে। জোটের শীর্ষ পর্যায় থেকে প্রাপ্ত খবরে আরো জানা গেছে, মঙ্গলবারের সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া সরকারকে শেষবারের মতো সতর্ক করবেন।
বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির এক সদস্য জানান, সংবাদ সম্মেলনে বেগম জিয়া নির্দলীয় সরকারের রূপরেখা, নতুন আল্টিমেটাম দিবেন। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী ও তাদের মন্ত্রীদের সাম্প্রতিককালে যে বক্তব্যে দিয়েছেন তার জবাব দিবেন।
দলীয় এক সূত্র জানায়, নতুন কর্মসূচি নিয়ে দলের কয়েকজন সিনিয়র নেতা, আইনজীবী ও প্রবীণ বুদ্ধিজীবীদের সাথে ইতোমধ্যে কথা বলছেন খালেদা জিয়া।
এদিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, “সরকারের সদিচ্ছা থাকলে এখনও সমঝোতা সম্ভব। সমঝোতার মাধ্যমে সকলের অংশগ্রহণে দশম জাতীয় সংসদের নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য এমন কি সংবিধানের কোরো সংশোধনী প্রয়োজন হলে তাও করা সম্ভব। কারণ সংসদ এখনও বহাল আছে। নির্বাচন অনুষ্ঠানে সময়েরও কোনো অভাব নেই। অভাব শুধু সরকারি সদিচ্ছার।”
অপরদিকে দলের স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য লেফটেনেন্ট জেনারেল (অব) মাহবুবুর রহমান বলেছেন, “দেশে নির্বাচনের নামে যে প্রহসন চলছে তা কখনো গ্রহণযোগ্য নয়। সকল দলের অংশগ্রহণে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন এদেশের মানুষের প্রত্যাশা। অথচ বর্তমান সরকার ক্ষমতার মোহে নিজেদের অধীনে নির্বাচন করে ক্ষমতায় থাকার স্বপ্নে বিভোর রয়েছে যা কখনো সম্ভব নয়।”
এর আগে শুক্রবার বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল-নোমান বলেছিলেন, “গণতন্ত্র, ভোটাধিকার ও দেশ রক্ষার চলমান আন্দোলন থেকে পিছ পা হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। সরকার প্রার্থীবিহীন নীল নকশার নির্বাচন স্থগিত না হওয়া পর্যন্ত চলমান আন্দোলন বিরতিহীনভাবে চলবে। এই চলমান আন্দোলনকে ক্রমান্বয়ে অসহযোগ আন্দোলনে পরিণত করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন আদায় করা হবে।”