চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম দিনে ২৪৮ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। নি:সন্দেহে দক্ষিণ আফ্রিকার থেকে কয়েকগুণ ভালো খেলে মঙ্গলবার প্রথম দিন নিজেদের করে নেয় টাইগাররা।
দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে একাই লড়াই করেন তেম্বা বাভুমা। ১০৮ বলে ৫ বাউন্ডারিতে ৫৪ রান আসে তার ব্যাট থেকে। যা তার ক্যারিয়ারের প্রথম হাফ সেঞ্চুরি। তবে হাফ সেঞ্চুরির স্বাদ পাওয়ার পর পরই মুস্তাফিজের চতুর্থ শিকারে পরিণত হন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান।
দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে বাভুমা জানান, মুস্তাফিজকে খেলতে শুধু তারই না দক্ষিণ আফ্রিকার পুরো দলের কষ্ট হয়েছে। মুস্তাফিজকে নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বাভুমা। সংবাদ২৪.নেট পাঠকদের জন্যে তা দেওয়া হলো-
প্রশ্ন: উইকেট কেমন ছিল?
বাভুমা : উইকেট স্লো (মন্থর) ছিল। মানিয়ে নেওয়া চ্যালেঞ্জ ছিল। রান করা ততটা সহজ ছিল না। অনেকগুলো বল নিচু হয়ে যাচ্ছিল। তবে বাংলাদেশ বোলিংও ভালো করেছে।
প্রশ্ন: উইকেটে নতুন ও পুরাতন বলে কোনো পার্থক্য পেয়েছেন?
বাভুমা: বল যখন নতুন ছিল তখন দ্রুত ব্যাটে ছিল। সে সময়ে উইকেটও ভালো ছিল। বলব ব্যাটিং সহায়ক। পুরনো ও নরম হওয়ার পর আস্তে আস্তে উইকেটে ব্যাটিং করা কঠিন হয়ে পরে। সহজে গ্যাপ পাওয়া যাচ্ছিল না।
প্রশ্ন: মুস্তাফিজের বোলিং খেলে কেমন লাগল?
বাভুমা: ওকে (মুস্তাফিজ) পড়তে সময় লেগেছে। কারণ ব্যাটে ঠিকমত বল আসছিল না। তবে সত্যিই বাংলাদেশ আজ দারুণ বোলিং করেছে। সে (মুস্তাফিজ) তো বিশ্বমানের।
প্রশ্ন: মুস্তাফিজের ওভারটি কি আজকের টার্নিং পয়েন্ট বলবেন?
বাভুমা: আমরা ওর (মুস্তাফিজ) এক ওভারে তিন উইকেট হারিয়েছি। আজকের দিনে সেটি ছিল টার্নিং পয়েন্ট। সে সময়ে থেকে আমরা আমাদের পরিকল্পনা থেকে সরে আসতে থাকি। স্বাগতিকদের সামনে আর ঘুরে দাড়াতে পারিনি। ওর (মুস্তাফিজ) ওভারটি ছিল অসাধারণ, দূর্দান্ত।
প্রশ্ন: মুস্তাফিজকে নিয়ে আগে থেকে গবেষণা হয়েছে? ভিডিও দেখা হয়েছে?
বাভুমা: আসলে আমি ভিডিও অতবেশি দেখি না। ভিডিও দেখার অভ্যাস কম। মুস্তাফিজের ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। এখানে এসে আমাদের দলের ক্রিকেটার থেকে ওর (মুস্তাফিজ) সম্পর্কে ধারণা নিয়েছি। হ্যাশ (হাশিম আমলা) এর সঙ্গে কথা বলেছি। তবে অন্যরা মুস্তাফিজকে নিয়ে বেশ গবেষণা করেছে।
প্রশ্ন: আজ আপনাদের কোথায় সমস্যা ছিল?
বাভুমা: আমরা ব্যাটিং ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারিনি। আমি বলবো মানসিক ভাবেও হয়ত শক্ত ছিলাম না। এজন্য পরিকল্পনাগুলো কাজে লাগাতে পারিনি। এগুলো ক্রিকেটের অংশ।