রংপুরের মিঠাপুকুরের শঠিবাড়ীতে রেস্ট হাউজের আড়ালে এলাকার বিভিন্ন স্থান থেকে পেশাদার পতিতা নিয়ে এসে রাতে দেহ ব্যবসা চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
দিনের পর দিন রেস্ট হাউজের অন্তরালে এ দেহ ব্যবসা চলে আসছে । এরই মধ্যে আপত্তিকর অবস্থায় ৪ কিশোর-কিশোরী আটক হয়। বুধবার বিকেলে মিঠাপুকুর থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে শঠিবাড়ী রেস্ট হাউজ থেকে ২ জোড়া কিশোর-কিশোরীকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
এসময় শঠিবাড়ী রেস্ট হাউজের মালিক ফুলু মিয়া ও ব্যবস্থাপক আতিক মিয়া পালিয়ে যান। পুলিশ জানায়, শঠিবাড়ী রেস্ট হাউজ নামে প্রতিষ্ঠানটিতে দীর্ঘদিন ধরে দেহ ব্যবসা চালানো হচ্ছে।
দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পেশাদার পতিতা এনে খদ্দের সরবরাহ করা হয়। এছাড়াও, উঠতি বয়সের প্রেমিক-প্রেমিকারা নিরাপদ স্থান হিসেবে ওই রেস্ট হাউজ ব্যবহার করে অসামাজিক কার্যকলাপ চালায়। বুধবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মিঠাপুকুর থানা উপ-পরিদর্শক (এসআই) ওয়ালিউর রহমান, রিপন চন্দ্র ও হুমায়ুন কবীর অভিযান চালান শঠিবাড়ী রেস্ট হাউজে।
এ সময় ৪ জন কিশোর-কিশোরীকে আটক করা হয়। তারা হলেন- মিঠাপুকুর উপজেলার বালুয়া মাসিমপুর ইউনিয়নের হামিদপুর গ্রামের বেলাল হোসেনের ছেলে (২২), পীরগাছা উপজেলার দেউতি এলাকার শরিফুল ইসলামের মেয়ে (১৬), গাইবান্ধা জেলার সাদুল্যাপুর উপজেলার বখশিগঞ্জের আব্দুল বারির ছেলে (২৫) ও ধাপেরহাটের বিষ্ণপুরের রফিকুল ইসলামের মেয়ে (১৪)।
পুলিশি অভিযানের সময় শঠিবাড়ী রেস্ট হাউজের মালিক ফুলু মিয়া ও তার ছেলে ব্যবস্থাপক আতিক পালিয়ে যায়। মিঠাপুকুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ওয়ালিউর রহমান বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে শঠিবাড়ী রেস্ট হাউজ থেকে ৪ কপোত-কপোতিকে আটক করা হয়।
তারা সেখানে অসামাজিক কাজে লিপ্ত ছিল। পরে আটকৃতদের ভ্রাম্যমান আদালতে জরিমানা করা হয়। শঠিবাড়ী রেস্ট হাউজের মালিক ফুলু মিয়া ও তার ছেলে আতিকের সাথে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তারা কেউ মোবাইল ফোন রিসিভ করেননি।