প্রিয় নায়ক সালমান শাহর ৪৪ তম জন্মদিন উপলক্ষে ভক্ত-অনুরাগীদের ব্যাপক আয়োজন

0

salman-sah-জনপ্রিয়তার তুঙ্গে থাকাকালে ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর মৃত্যু হয় নায়ক চৌধুরী মোহাম্মাদ ইমন ওরফে সালমান শাহর। ওই দিন বেলা ১১ টার দিকে রাজধানীর ইস্কাটনে নিজের বাসার ড্রেসিং রুমে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করা হয়।

সালমান শাহ বাংলাদেশের ক্ষনজন্মা চির সবুজ চিত্রনায়ক। তিনি ১৯ সেপ্টেম্বর ১৯৭১ সালে জন্ম গ্রহন করেন। ১৯ সেপ্টেম্বর ক্ষণজন্মা তারকা সালমান শাহর ৪৪ তম জন্মদিন। এদিনটি উদযাপনে উদ্যোগ নিয়েছেন চীর অমর এ নায়কের ভক্ত ও সহকর্মীরা।

নব্বইয়ের দশকে বাংলা চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তরুণ হৃদয়ে ঝড় তোলা সালমান শাহর জন্মদিনে কেক কেটে ও স্মৃতিচারণার মধ্য দিয়ে পালন করা হবে বলে জানা গেছে।

এদিন বিকেলে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন (এফডিসি) চত্বরের উন্মুক্ত মঞ্চে থাকবে আলোচনা সভা। এই আয়োজনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও তারকা মেলায় অংশ নেবেন মিডিয়া ব্যক্তিত্ব, অভিনয়শিল্পী, সংগীতশিল্পী, পরিচালক, প্রযোজকসহ টেলিভিশন ও চলচ্চিত্র-জগতের অনেকে।

এ আয়োজন নিয়ে সালমান শাহ স্মৃতি পরিষদের সভাপতি এস এম শফি জানান, সালমান শাহ অভিনীত চলচ্চিত্রগুলোতে যারা অভিনয় করেছেন, তাদের মধ্য থেকে কয়েকজনকে সেদিন জানানো হবে বিশেষ সম্মাননা।

বেশ কয়েক বছর ধরে সালমানের জন্মদিনের এই আয়োজনটি করে আসছে সালমান শাহ স্মৃতি পরিষদ।

এদিকে, নব্বইয়ের দশকের জনপ্রিয় নায়ক সালমান শাহর মৃত্যুর ঘটনায় করা মামলায় পুনঃতদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী  ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে দিন ধার্য করেছেন আদালত।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর মারা যান চিত্রনায়ক চৌধুরী মোহাম্মদ শাহরিয়ার ইমন ওরফে সালমান শাহ। সে সময় এ বিষয়ে অপমৃত্যুর মামলা করেন তার বাবা কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরী। পরে ১৯৯৭ সালের ২৪ জুলাই ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে অভিযোগ করে মামলাটিকে হত্যা মামলায় রূপান্তরিত করার আবেদন জানান তিনি। অপমৃত্যুর মামলার সঙ্গে হত্যাকাণ্ডের অভিযোগের বিষয়টি এক সঙ্গে তদন্ত করতে সিআইডিকে নির্দেশ দেন আদালত। সালমান শাহর মৃত্যুর ঘটনাটি তদন্ত করে ১৯৯৭ সালের ৩ নভেম্বর আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয় সিআইডি।

 চূড়ান্ত প্রতিবেদনে সালমান শাহর মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে উল্লেখ করা হয়। ২৫ নভেম্বর ঢাকার সিএমএম আদালতে ওই চূড়ান্ত প্রতিবেদন গৃহীত হয়। সিআইডির প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে তার বাবা কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরী রিভিশন মামলা দায়ের করেন। ২০০৩ সালের ১৯ মে মামলাটি বিচার বিভাগীয় তদন্তে পাঠায় আদালত। এর পর প্রায় ১২ বছর মামলাটি বিচার বিভাগীয় তদন্তে ছিল।

পরে ২০১৪ সালের ৩ আগস্ট ঢাকার সিএমএম আদালতের বিচারক বিকাশ কুমার সাহার কাছে বিচার বিভাগীয় তদন্তের প্রতিবেদন দাখিল করেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ইমদাদুল হক। এ প্রতিবেদনে সালমান শাহর মৃত্যুকে অপমৃত্যু হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

এরপর ২০১৪ সালের ২১ ডিসেম্বর সালমান শাহর মা নীলুফার চৌধুরী ছেলের মৃত্যুর বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করেন এবং ২০১৫ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি  ঢাকা মহানগর হাকিম জাহাঙ্গীর হোসেনের আদালতে বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদনের নারাজির আবেদন দাখিল করেন।

নারাজি আবেদনে উল্লেখ করা হয়, আজিজ মোহাম্মদ ভাইসহ ১১ জন তার ছেলে সালমান শাহর হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারেন। পরে নারাজি আবেদনটি মঞ্জুর করে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়নকে (র‌্যাব) তদন্তভার প্রদান করেন আদালত।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More