আপনার হার্টলাইন বা আপনার সম্পর্কে অনেক কিছুই বলে। আপনার ভূতভবিষ্যত্ না বলতে পারলেও, আপনি যে মানুষটা কেমন, তার একটা নিটোল ছবি তুলে ধারতে পারে আপনার হাতের হৃদয়রেখা। সেই ছবি নিয়ে নাচাচাড়া করলে, ভবিষ্যতের মানুষটি কেমন হবে, তার একটা আভাস তো মেলেই।
যে হৃদয়রেখা নিয়ে এত কথা, সেই রেখার সঙ্গে পরিচয় আছে? নামে পরিচয় না থাক, চেনারেখা তো বটেই। নিজের হাতের দিকে একবার তাকান।
আপনার কড়ে আঙুলের একটি নীচ থেকে যে গাঢ় রেখা মধ্যমা, তর্জনী বা বুড়োআঙুল ( লোক বিশেষে ) বরাবর চলে গিয়েছে, সেটাই আপনার হার্টলাইন বা হৃদয়রেখা। অবস্থান অনুযায়ী চারটে ক্যাটেগরিতে বাগ করা যায়। হৃদয়রেখার সূচনাই একজনের থেকে আর একজনকে আলাদা করে দেয়। নীচে মিলিয়ে দেখুন, আপনি কেমন:
(ক) আপনার হৃদয়রেখার শুরুটা যদি মধ্যমার নীচ থেকে হয়, নিশ্চিত ভাবেই আপনার মধ্যে নির্ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে। ভালো লিডার হতে পারেন। কারও তোয়াক্কা রাখেন না। চেষ্টা করেন অন্যের উপর নির্ভরশীল না হতে। প্রচণ্ডই উচ্চাকাঙ্ক্ষী। এত গুণের সমাহার যাঁর মধ্যে, তাঁর বুদ্ধিমত্তা নিয়ে না বললেও চলে। তবে, সংবেদনশীলতা আপনার মধ্যে কমই। চট করে উত্তেজিতেও হয়ে পড়েন না। ঠান্ডা ঠান্ডা কুল কুল মানসিকতা। যে কারণে চটজলদি সিদ্ধান্ত না নিয়ে, ঠান্ডামাথায় ভেবেচিন্তে পা ফেলেন।
(খ) হৃদয়রেখা যখন মধ্যমা পেরিয়ে তর্জনীর গোড়া থেকে শুরু হয়, ধরে নেওয়া যায়, সেই ব্যক্তি কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে আবেগের বশবর্তী না-হয়ে, কমন সেন্সে জোর দেন। এই ক্যাটেগরির মানুষজন কিন্তু খুবই সহানুভূতিশীল, অনভূতিপ্রবণ। অন্যের বিপদে ঝাঁপিয়ে পড়েন। অনেক ক্ষেত্রেই দ্বিধান্বিত। চারপাশের লোকজনকে নিয়ে সচেতন থাকে। অন্যরা এঁদের বিশ্বাস করেন।
(গ) হৃদয়রেখার শুরুটা যদি তর্জনীর মাঝবরাবর জায়গা থেকে আরম্ভ হয়, তাদের সঙ্গে ‘ক’ ক্যাটেগরির লোকজনের মিল আছে। সবকিছুতেই অদ্ভুতরকম মিল দেখা যায়।
(ঘ) হৃদয়রেখার শুরুর অবস্থান যদি তর্জনী ও বুড়োআঙুলের মাঝবরাবর হয়, তাঁরা কিন্তু খুবই নরম মনের মানুষ হয়। কোনও অসদ উদ্দেশ্য এঁদের মধ্যে কাজ করে না। পড়াশোনা-সহ সবকিছুতেই মনোযোগী। এবং, প্রেমিক বা মানুষ হিসেবেও যথেষ্ট কেয়ারিং।