এইজন্যই কি জীবন বাজি রাইখা অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করছেলাম ? স্বাধীন স্বার্বভৌমত্ব রাষ্ট্রে সরকার আমাগো নাম দিয়া রাজনৈতিক ব্যাবসা করছে এমনকি শ্বৈরাচারি রাষ্ট্র কয়েমের জোর প্রচেষ্টা করতাছে। ঘর থেকে বাইর হওয়া যায় না পুলিশের ডরে। মুজিব সাহেব যেমন বাকশাল করতে চাইছিলেন তেমনি তার কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী আমাগোর বাক স্বাধীনতাকে হরণ কইরা বাকশাল কায়েম করতে চাইতেয়াছে। এখন মানবাধিকার সংস্থাগুলো চুপ রইছে কেন, না কি হ্যাগোরও বাকশক্তি কাইরে নিছে ।’’
এভাবেই হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন পটুয়াখালী-২ এর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হাসেম মৃধা। বর্তমানে চরম দারিদ্রের যাতাকলে পিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা হাসেম ৭০ বৎসর বয়সেও পুরান ঢাকার শুত্রাপুরে অন্যের চায়ের দোকানে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে চলেছেন। বাবা একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে কি পেয়েছে বলে মন্তব্য করে তার কলেজে পরুয়া ছেলে জাহিদ বলেন, “কাকডাকা সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত আমার বাবা অন্যের চায়ের দোকানে কাজ করেন। তিনি আরো বলেন বাবা এত ব্যস্ততার মধ্যেও দেশ নিয়ে ভাবেন। কিন্ত অন্যরাতো ঠিকই মক্তিযোদ্ধা পরিচয় দিয়ে ফায়দা লুটে যাচ্ছে।”
তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘‘সরকার নাকি ঘরে ঘরে চাকুরি দেয় কই আমি একজন মুক্তিযুদ্ধার সন্তান হয়েও তো চাকরি পাই নাই।’’
মুক্তিযোদ্ধা আবুল হাসেম মৃধা আরো বলেন ‘‘আমরা কি তাইলে মুক্তিযুদ্ধ নিয়া আওয়ামীলীগের ব্যাবসা করার জন্য দেশটাকে স্বাধীন করছেলাম , নাকি জনগণেরে শান্তির জন্যে’’ একথা গুলো বলতে বলতে কেদেঁ ফেলেন এবং বলেন ‘‘আমরা যে ভাত খেতে পাইনা, আমরা যে গণতান্ত্রিক অধিকার পাইতাছি না, তা কেউ দেখার নাই। কিন্তু ৪২ বৎসর পর সরকার রাজাকার অভিযুক্ত কইরা বিচার করতেছে, কিন্তু আজ যে শত শত লাশ পড়ছে এর বিচার কবে হবে ? বর্তমানে অনেক নতুন গজানো নামধারী মুক্তিযোদ্ধা হইছে, যারা যুদ্ধের সময় রাজাকরের ভূমিকায় আছিলো। সরকার এইগুলো কইরা দেশটারে বিভক্তির দিকে নিয়া যাইতাছে। আমরা এরকম হিংসার রজনীতি হইতে পরিত্রাণ চাই।’’
বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে তার মতামত জানতে চাইলে তিনি বলেন- ‘‘বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি যা দেখতাছি সরকার নাকি ভোট ছাড়াই ক্ষমতায় যাইতেয়াছে তিনি হতাশা প্রকাশ করে বলেন, তাহলে কি এর নাম গণতন্ত্র, এর নাম কি স্বাধীনতা, এর জন্যই কি জীবন বাজি রাইখা যুদ্ধ কইরা দেশটাকে স্বাধীন করছেলাম ? দেশে যা দেখতাছি, তাতে মনে হইতাছে সামনে আরেকটি যুদ্ধ দেখতে হইবে।’’
সূত্রঃ বাংলাসংবাদ২৪.কম